Logo
শিরোনাম

অসহায়ের সহায় হিসেবে আবির্ভূত হন ইঞ্জিনিয়ার নোমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার এই মুহূর্তে বাংলাদেশের একজন তরুণ সফল শিল্পোদ্যোক্তা। উদ্যোমী, মেধাবী ও প্রকৌশলী শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসায়ী সমাজের কাছে আদর্শ বিজনেস আইকন হিসেবে সমাদৃত তিনি। অল্প সময়ে তার পরিশ্রম, ত্যাগ, সততা, নিষ্ঠা ও সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেকে ব্যবসায়ী জগতে যেমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তেমনি রাষ্ট্রের কাছে হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বৃহৎশিল্প স্থাপন ও পরিচালনার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তিনি বেকারত্ব দূরীকরণ এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে নিভৃতে কাজ করে চলেছেন।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ১৯৭৩ সালে ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ভেদুরিয়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল হান্নান হাওলাদার ও মাতা নুর জাহান বেগম। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে নোমান হাওলাদার দ্বিতীয়।

শৈশব থেকেই অত্যন্ত শান্তও মিশুক প্রকৃতির ছিলেন আবু নোমান। তার আদব-কায়দা ও ভদ্রতায় প্রতিবেশীদের কাছে অন্তত এ বিষয়টি স্পষ্ট ছিল যে একজন সুমানুষ হিসেবে গড়ে উঠবেন তিনি। বাবা মায়েরও বুঝতে বাকি ছিলোনা যে তাদের এই মেধাবী সন্তান পড়ালেখায় ভালো করে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন। সম্মান বয়ে আনবেন সমাজ ও দেশের জন্য। বাবা-মারও প্রত্যাশা ছিলো যেতাদের সন্তান দেশের মানুষের সেবা করবে সবটুকু উজার করে।

প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সবসময়ই ক্লাসে প্রথম ছিলেন আবু নোমান। প্রাথমিকে পড়েছেন উত্তর ভেদুরিয়ার কুলচরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে আবু নোমান ভর্তি হন ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের করিমগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে। সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। এখানেও প্রতিটি শ্রেণিতে প্রথম ছিলেন তিনি। এই সাফল্যের পথ ধরে ১৯৮৮ সালে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেন আবু নোমান। পিতা-মাতা উভয়েই শিক্ষার প্রতি অনুরাগী হবার ফলে পড়ালেখার উত্তম পরিবেশ সৃষ্টি করেন তারা এবং তাদের তত্ত্ববধানেই বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করে মাধ্যমিকেও সাফল্য অর্জন করেন তিনি।

মাধ্যমিক পাশ করার পর উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ালেখার জন্য রাজশাহীতে যান আবু নোমান। সেখানে মামার তত্ত্ববধানে পড়ালেখা করেন তিনি। ভর্তি হন রাজশাহী সিটি কলেজে। উচ্চ মাধমিক পাস করার পর মেধার স্বাক্ষর রেখে আবু নোমান ভর্তি হন দেশের মেধাবীদের পীঠস্থান,বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েটে। পড়াশোনা করেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। এই সময়ে জড়িত হন ছাত্র রাজনীতিতে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে বুকে লালন করা পরিবারের সন্তান হিসেবে নিশ্চিত ভাবে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগই তার রাজনৈতিক, আদর্শিক ঠিকানা হয়ে ওঠে।

নব্বইয়ের দশকে বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক অবস্থান অতটা শক্তিশালী ছিলো না। ছাত্রলীগের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান। সেই পরিশ্রম ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৭ সনে ইউকসু নির্বাচনে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে ভিপি নির্বাচিত হন তিনি।

তার সততা, নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, বন্ধুবৎসল আচরণে মুগ্ধ হন সবাই। সে কারণেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও তাকে বিপুল সমর্থকরা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। কর্মজীবনে ও তিনি মানুষকে ভালোবাসার যে শিক্ষা চর্চা করেন, সেই হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণের কারণেই দল মত নির্বশেষে সার্বজনীন ভালোবাসাও সম্মানের অবস্থানে নিজেকে উন্নীত করেছেন ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হওলাদার। ছাত্র-শিক্ষক, ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ,তরুণ, বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাই ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমানকে একজন সজ্জন, দয়ালু, দানশীল মানবিক মানুষ হিসেবে জানেন এবং শ্রদ্ধাকরেন।

আবু নোমান হাওলাদারের নেতৃত্ব দেবার গুণাবলী অসাধারণ। তার মোহনীয় ব্যক্তিত্বই তাকে নেতৃত্বের স্থানে আসীন করেছে। তিনি এরই মধ্যে লালমোহন-তজুমদ্দিন এবং তার কর্মক্ষেত্রে প্রমাণ করেছেন তার জনপ্রিয়তা। দশ থেকে বারোটি বৃহৎ শিল্প পরিচালনা, এসব ভারী শিল্প কারখানকে টিকিয়ে রাখতে যে দক্ষতা, যোগ্যতা, দূরদর্শিতা এবং নেতৃত্বের প্রয়োজন আবু নোমানের এসবের কোনোটিরই কমতি নেই। তিনি যেমন একজন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন, ঠিক তেমনি ভাবেই একজন প্রতিভাবান ও সুব্যবসায়ী হিসেবে এদেশের শিল্পখাতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

শিক্ষাজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, ব্যবসায়ী জীবনে সাফল্যের পর রাজনীতিতেও ঈর্ষণীয় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন তিনি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের যোগ্যতায় বিশেষ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত একজন সফল মানুষ ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার। তার মতো প্রমাণিত মেধাবীদের পক্ষেই সম্ভব দেশের রাজনীতিতেও গুণগত পরিবর্তন সাধন করা।

বুয়েটের মেধাবীদের কাছে বিদেশ কোনও স্বপ্ন নয়। অনেকেই ইউরোপ, আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে সেখানেই স্থায়ী হয়েছেন পেশায়। বুয়েট থেকে পাশ করা একজন মেধাবী প্রকৌশলী হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারেরও সেই সুযোগ ছিলো। সেরা বিদ্যাপীঠ থেকে পাস করে বের হওয়া একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বিদেশে চলে যাবার সুযোগ অবজ্ঞা করা নিশ্চয়ই সহজ কাজ নয়। কিন্তু দেশ, মাটি ও মানুষের কথা চিন্তা করে, নিজের আরাম-আয়েসের কথা বাদ দিয়ে দেশেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই বুয়েট প্রকৌশলী। তিনি মা ও মাটিকে ফিরিয়ে দিতে চান তার চেয়েও বেশি যতটুকু তিনি এই দেশ থেকে পেয়েছেন।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমানের জীবন পথও কুসুমাস্তীর্ণ ছিলোনা। ক্যারিয়ার ছিলো চ্যালেঞ্জিং ও বিপদ সঙ্কুল। বুয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর একটি স্বনামধন্য বেসরকারি শিল্প গ্রুপে চাকরি করেন তিনি। কয়েক বছর চাকরি করে এই প্রকৌশলী সিদ্ধান্ত নেন- আর চাকরি নয়; এবার ব্যবসা করবেন তিনি।

শুরু করলেন উদ্যোক্তা জীবন। শুরুটা ২০০০ সালের দিকে। কিন্তু ব্যবসাতো এত সহজ নয়। এই অভিযাত্রায় আছে ঘাত-প্রতিঘাত ও বন্ধুর পথ। আছে লাভ-লোকসানের কঠিন সব সমীকরণ। ব্যবসায় প্রয়োজন অসীম ধৈর্য, হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম, দৃঢ় মনোবল, আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা। জীবনের কঠিন সব চ্যালেঞ্জ উতরে আজকের অবস্থানে নিজেকে মেলে ধরেছেন আবু নোমান হাওলাদার। একজন সফল উদ্যোক্তা, নিষ্ঠাবান, সৎব্যবসায়ী হিসেবে রাষ্ট্রকে কোটি কোটি টাকা কর প্রদান করেন তিনি। শিল্পখাতে নিজের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন তরুণ এই শিল্পপতি।

দুদশকের ব্যাবসায়িক অগ্রযাত্রায় অর্জন আর সাফল্যের ঝুড়ি নিয়ে গর্ব করার অনেক কিছুই অর্জন করেছেন তিনি। সিআইপি মর্যাদা পেয়েছেন দুবার। রাষ্ট্র ব্যবসায়িক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাদেরকেই মনোনীত করে যাদের অবদান বিশেষ সম্মানের সাথে স্বীকার করে রাষ্ট্র। যেসব বিবেচনায় একজন শিল্প উদ্যোক্তা সিআইপি মনোনীত হন।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার একজন সৎ, আদর্শবান, পরিশ্রমী এবং নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ী। ছাত্রজীবন থেকে যোগ্য নেতা হিসেবে প্রমাণিত এই মানুষটি করোনাকালে ভোলার লালমোহন-তজুমদ্দিনে অসহায়ের সহায় হিসেবে আবির্ভূত হন। তারপক্ষে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়া হয় নিম্নআয়ের মানুষের ঘরে ঘরে। জাতির পিতার আদর্শের ধারক হিসেবে তিনি বিশ্বাস করেন, সবাইকে নিয়ে বেঁচে থাকার মধ্যেই জীবনের প্রকৃত অর্থ নিহিত। এই মহৎ ভাবনা যাকে তাড়া করে ফেরে, তিনি একজন মানবিক মানুষ। আর মানবিক মানুষেরাই প্রকৃত মানুষ। নেতত্বের আসনে এমন প্রকৃত মানুষদের আসা উচিৎ যারা দায়িত্বকে ক্ষমতা নয়, মনে করেন আমানত।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর