Logo
শিরোনাম

অস্ত্রের গবেষণাগারে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়ার আগ্রাসন। এরপর থেকেই সামরিক সহায়তা হিসেবে দেশটিতে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র, গোলাবারুদ পাঠিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এখন বলছে, এক বছরে ইউক্রেনের যুদ্ধের ময়দান পরিণত হয়েছে অস্ত্রের গবেষণাগারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মার্কিন সমরাস্ত্রের সঙ্গে নিজস্ব উদ্ভাবনী কৌশলও প্রয়োগ করছে ইউক্রেনের বাহিনী। সেগুলো মুগ্ধ করছে পশ্চিমা কর্তাব্যক্তিদের।

যেমন- অভিনব এক সফটওয়্যার তৈরি করেছে ইউক্রেন। সে সফটওয়্যারটি আশপাশে বিদ্যমান কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। রিয়েলটাইমে খুঁজে দেয় শত্রুপক্ষকে। এখন গোটা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এর সুফল ভোগ করছে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তারা খুঁজে বের করছে শত্রুদের। মার্কিন কর্মকর্তারাও বলছেন, সফটওয়্যারটিকে কাজে লাগিয়ে রুশ লক্ষ্যে সুনিপুণভাবে আঘাত হানতে পারছে ইউক্রেনের সেনারা।  শুধু এই সফটওয়্যার নয়। আরও অনেক কিছু নিজেদের প্রয়োজন মাফিক তৈরি করে নিয়েছে ইউক্রেনের সেনারা। এ রকম সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- ছোট প্লাস্টিক ড্রোন। যা মাথার ওপর শব্দ করে উড়ে বেড়ায় এবং রাশিয়ার ওপর গ্রেনেড ফেলে আসে। 

এ ছাড়াও ভারী যন্ত্রাংশ মেরামতে সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে বসেই বাড়তি যন্ত্রাংশ তৈরি করে নিচ্ছে থ্রিডি প্রিন্টারের সহায়তায়। তারা সাধারণ পিকআপ ট্রাককে পরিণত করেছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বাহনে। এমনকি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে পুরোনো সোভিয়েত যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ এর সঙ্গে জুড়ে নেওয়া যায়, সে উপায়ও বের করেছেন ইউক্রেনীয় প্রকৌশলীরা। এরই বদৌলতে যুদ্ধের ৯ মাস পরেও আকাশে দাপটের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনী। জলেও থেমে নেই ইউক্রেন।

সেখানেও নিজস্ব জাহাজ-ধংসকারী অস্ত্র নেপচুন তৈরি করে নিয়েছে দেশটির বাহিনী। এই অস্ত্রগুলো রাশিয়ার রণতরিতে প্রায় দুইশ মাইল দূর থেকে আঘাত হানতে পারে। ইউক্রেনের এই অভিনব প্রচেষ্টা মার্কিন কর্মকর্তাদের আকৃষ্ট করেছে। তারা কিয়েভের এ সক্ষমতাকে দেখছেন যুদ্ধক্ষেত্রের ম্যাকগাইভার সমাধান হিসেবে। এগুলো একদিক থেকে ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্রে সহায়তা করছে। আরেক দিক থেকে পশ্চিমা অস্ত্রসম্ভারের যে ফাঁকফোকর আছে, তা ঘুচিয়ে দিচ্ছে।

মার্কিন কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকরা এখন বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রের গবেষণাগারে পরিণত হয়েছে। যেখানে সস্তা এবং কার্যকরী সমাধানের নমুনা দেখা যাচ্ছে হরহামেশাই। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা কর্মসূচির পরিচালক সেথ জোনস বলছেন, তাদের উদ্ভাবন অবিশ্বাস্যভাবে আকর্ষণীয়।  

আরও একটি দিক থেকে পুরো বিষয়টি মনোযোগ কাড়ছে বিশেষজ্ঞদের। তা হলো- ইউক্রেনের বদৌলতেই প্রথমবারের মতো অনেক অস্ত্র হাতেনাতে ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে। অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতিও ধরা পড়ছে। পশ্চিমা গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র এ প্রসঙ্গে বলেন, এটি বাস্তব বিশ্বের যুদ্ধপরীক্ষা।  ইউক্রেন যুদ্ধের বরাতে নিজেদের বিভিন্ন অস্ত্র ও ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রচুর তথ্য-উপাত্ত পাচ্ছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অনেক কিছুই নতুন আলোতে দেখছে তারা। যেমন- ইউক্রেনকে সুইচব্লেড ৩০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যার মূল কাজ- শত্রুর রাডার ব্যবস্থায় আঘাত হানা। কিন্তু পরে দেখা গেল, যতটা ভাবা হয়েছিল, ততটা কার্যকরী নয় এটি।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম১৪২ রকেট লঞ্চার বা হিমারস ইউক্রেনের সফলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এসব অস্ত্র ব্যাপকভাবে ব্যবহারে কী পরিমাণ সারাইয়ের প্রয়োজন পড়ে, সে সম্পর্কে পোক্ত একটি ধারণা পেয়েছেন মার্কিন কর্তাব্যক্তিরা। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, ইউক্রেন নিজেদের স্বল্পসংখ্যক হিমারস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে যেভাবে রুশ সেনাদের ওপর ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, তা নিয়ে সামরিক নেতারা বছরের পর বছর গবেষণা করবেন।

ঠিক একইভাবে এম৭৭৭ হাওয়িটজারের কার্যকারিতা সম্পর্কেও ভালো ধারণা পেয়েছেন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা। স্বল্প সময়ের মধ্যে বেশি গোলা ছুড়ে ফেললে নিজের রাইফেলিং ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে অস্ত্রটি।  ইউক্রেন যুদ্ধকে কাজে লাগিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদাররাও। তারা এ সুযোগে নিজেদের অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করছেন। পাশাপাশি চলছে সেগুলোর প্রচারণাও। অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিএই সিস্টেমস বলছে, রাশিয়ার সেনাদের সফলভাবে কামিকাজে ড্রোনের ব্যবহার তাদেরকে নতুন ঘরানার সাজোয়াঁ যান তৈরির ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছে। যা সেনাদেরকে মাথার ওপরের এ ধরনের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারবে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর