জাপান থেকে উপহার হিসেবে আসা করোনা প্রতিরোধী অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ ডোজ টিকা দেশের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে।
শনিবার বেলা ৩টা ২৫ মিনিটে টিকার চালান বহনকারী ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজের বিমানটি বিমানবন্দরে আসে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছে জাপান।
এই টিকা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কিনেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সরবরাহসংকটে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায়নি। জাপান থেকে আসা অ্যাস্ট্রাজেনেকার এসব টিকা দিয়ে এখন দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে।
এই টিকা গ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ওই টিকা হস্তান্তর করেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫টি দেশের জন্য ১ কোটি ১০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান। এখান থেকে দফায় দফায় ৩০ লাখ আ্যস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান।
চুক্তি অনুযায়ী করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ৩ কোটি টিকা দেশে আসার কথা থাকলেও মাত্র ৭০ লাখ ডোজ দিয়েই টিকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। এমনকি এ বছরের শেষে ছাড়া অন্য দেশকে টিকা দিতে পারবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় ১৪ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সরকার। তাদের দ্বিতীয় ডোজ শেষ করতে বিকল্প উৎস থেকে টিকা খোঁজা হচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সরকারের বহুমুখী চেষ্টায় আগামীকাল এই টিকা দেশে আসছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না থাকলেও সরকারের হাতে এখন টিকার মজুত এক কোটির বেশি। এর একটি অংশ চীন থেকে কিনে আনা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ টিকা এসেছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।
আগস্টে আরও এক কোটির বেশি টিকা আসবে বলে নিশ্চিত করেছে সরকার।