Logo
শিরোনাম

পাকিস্তানে বন্যার ফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে পাকিস্তানে এ বছর প্রলয়ংকরী বন্যা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছ শত শত বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি ভবন। পানি নেমে যেতে শুরু করায় বন্যার ক্ষত স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার পাশাপাশি খাদ্যসংকট নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশটিতে এবারের বন্যার ফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী।

পাকিস্তানে এবারের বন্যায় ৩ কোটি ৩০ লাখের ওপর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখই শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৭০ লাখের ওপর মানুষ। প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। দেশটির জনসাধারণ যখন জলবায়ু পরিবর্তন ও রেকর্ড পরিমাণ মূল্যস্ফীতির মতো কঠিন সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছিল তখনই এই দুর্যোগ সেখানে আঘাত হানল। বন্যায় দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস সম্প্রতি পাকিস্তান সফরের পর পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোনো চিত্রই বিপর্যয়ের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, আমার নিজের দেশ পর্তুগালের সমপরিমাণ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যায় বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশ। সেখানে বেশির ভাগ এলাকা দেশের বাদবাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

যদিও আন্তর্জাতিক ত্রাণসহায়তা আসতে শুরু করেছে তা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বন্যার ফলে দেশটি দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সংকটের ফাঁদে আটকাতে পারে। সরকারিভাবে অবশ্য বলা হচ্ছে, পানি নেমে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ছয় মাস সময় লাগবে। দেশটির কর্মকর্তারা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে, এই সময়ের মধ্যে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে গিয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। ডব্লিউএইচওর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় আঞ্চলিক পরিচালক আহমেদ মানজারি বলেছেন, লাখ লাখ মানুষ এখনো সুপেয় পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটের মধ্যে আছে। বন্যা-পরবর্তী স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রাথমিক রিপোর্টে ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাবের কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনাজনিত কারণে সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে। পাকিস্তানের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও লেখক আনমোল ইরফানও তাই মনে করেন। সম্প্রতি ফরেন পলিসি সাময়িকীতে লিখেছেন, সন্দেহ নেই এটি এক নজিরবিহীন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কিন্তু অব্যবস্থাপনা ও রাজনীতিকদের প্রতি সাধারণ মানুষের অবিশ্বাস পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলেছে। কাজেই এটি কেবলমাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, মানবসৃষ্ট সমস্যাও এই দুর্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

প্রলয়ংকরী এ বন্যায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কৃষি ও পশুসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সাড়ে ৭ লাখের ওপর গবাদি পশু মারা গেছে, ধ্বংস হয়ে গেছে বিপুলপরিমাণ কৃষিজমি। ফলে পাকিস্তান নয় শুধু, বরং দেশটির ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য দেশেরও খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিতে পারে অনিশ্চয়তা। করোনা মহামারি ও ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর এই বন্যা হলো। ফলে স্বাভাবিকভাবে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি যা হওয়ার কথা তার চেয়ে বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দুই বছরের বেশি স্থবির ছিল। এরপর ইউক্রেন যুদ্ধ বহুদেশে খাদ্যসংকট তৈরি করেছে। তাছাড়া পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক সংকট ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছিল। যখন তারা এই সংকট কিছুটা কাটাতে আরম্ভ করে ঠিক তখনই আঘাত হানে এই বন্যা।

বিশেষজ্ঞরা এবারের বন্যার জন্য জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। সিন্ধু প্রদেশে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে ৯ গুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সারা দেশে বৃষ্টিপাত বেড়েছে পাঁচ গুণ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫ শতাংশ বেড়েছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে উত্তরের হিমবাহগুলো দ্রুত গলে গিয়ে নদনদীতে পানির পরিমাণ অস্বাভাবিক রকম বেড়ে যায়। পাকিস্তানে বন্যার আগে বাংলাদেশ ও ভারতে বন্যা হয়। পাকিস্তানে এর আগে ২০১০ সালে ব্যাপক বন্যা হয়েছিল। এবারের বন্যার তীব্রতা তার চেয়ে অনেক বেশি। ২০১০ সাল থেকেই বন্যা ও দাবদাহ দেশটিতে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ইতিমধ্যেই বন্যা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন। তার এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর