Logo
শিরোনাম

পাকিস্তানে কে হচ্ছেন নতুন সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের রাজনীতিতে বরাবরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা থাকে সেনাবাহিনীর। কান কথা আছে, ঐশ্বরিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত’ বিরাট এই সশস্ত্র বাহিনীই পাকিস্তানের আরেক অলিখিত সরকার’। রাজনৈতিক সমালোচকরাও প্রায়ই হাসিঠাট্টার ছলেই বলেন-প্রতিটি দেশের একটি সেনাবাহিনী থাকে। শুধু সেনাবাহিনীর একটি দেশ আছে সেটি হলো পাকিস্তান।’

সে হিসাবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান নিয়োগ, মেয়াদ বৃদ্ধি, বিদায়, রাজনৈতিক দর্শন-এই বিষয়গুলো ফুটপাত থেকে অন্দরমহলের হেঁসেল-সবখানেই থাকে মুখে মুখে। সম্প্রতি বিশ্বনন্দিত ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের সরকারের পতনের পর দেশটির রাজনীতিতে নতুন করে সেনাবাহিনীর ভূমিকা আলোচনায় আসে। তার বিদায়ের পেছনের শক্তি হিসাবে আঙুল উঠেছিল দেশটির সেনাবাহিনীর দিকে।

আগামী নভেম্বরেই শেষ হচ্ছে বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়ার মেয়াদ। ২০১৬ সালে তিন বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক নানা নাটকীয়তার মধ্যে ২০১৯ সালে আরও তিন বছর বাড়ানো হয় তার মেয়াদ। সে হিসাবে নভেম্বরে অবসরে যাওয়ার কথা বাজোয়ার। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন তোড়জোড়। আবারও কি মেয়াদ বাড়াবেন বাজওয়া নাকি এবার নতুন সেনানায়ক আনবেন শাহবাজ শরিফের সরকার। বাজওয়ার হাত ধরে ক্ষমতায়’ বসা শাহবাজের নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগকেই সবচেয়ে কঠিন কাজ হিসাবে মনে করা হচ্ছে। আরেক মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া না হলে শীর্ষ ছয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল থেকে একজনকে দায়িত্ব দিতে হবে।

পাকিস্তানের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৪৩(৩) অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে সামরিক বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট। ২০২০ সালে পার্লামেন্টে পাশ হওয়া এক আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী চাইলে তার বিবেচনায় সামরিক বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ বাড়াতে পারেন। তবে আইনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বয়স ৬৪ বছর হলে সামরিক বাহিনীর প্রধানদের অবশ্যই অবসরে যেতে হবে। সে হিসাবে বর্তমান সেনাপ্রধানের বয়স যেহেতু ৬১ বছর, মেয়াদ বাড়ালে তিনিও আরও এক টার্ম থাকতে পারেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রী জানান, নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগে আগস্টের শেষ নাগাদ নেপথ্যের আলোচনা শুরু করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। নিয়ম অনুযায়ী, ব্যক্তিগত তথ্যসহ চার থেকে পাঁচজন শীর্ষ লেফটেন্যান্ট জেনারেলের নাম প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে থাকে সামরিক বাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স (জিএইচকিউ)। এই পদের জন্য উপযুক্ত কর্মকর্তা বেছে নিতে পরে তাদের নাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেয় মন্ত্রণালয়। তাহলে কে হতে যাচ্ছেন বাজওয়ার উত্তরসূরি? পাকিস্তানের বহুল জনপ্রিয় ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডনের বিশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সম্ভাব্য কয়েকজনের নাম।

লে. জেনারেল আজহার আব্বাস: ভারত বিষয়ে সবচেয়ে অভিজ্ঞ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজহার আব্বাস। বর্তমানে তিনি চিফ অব জেনারেল স্টাফের দায়িত্বে আছেন। তিনি দক্ষতার সঙ্গে জিএইচকিউতে সেনাবাহিনীর আভিযানিক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সরাসরি দেখভাল করছেন। আজহার আব্বাসকে বর্তমান সেনাপ্রধানের আস্থাভাজন হিসাবেই বিবেচনা করা হয়।

লে. জেনারেল আসিম মুনির: সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান হওয়ার দৌড়ে আসিম মুনির সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে দুই তারকা জেনারেল হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হলেও দুই মাস পর তিনি দায়িত্ব নেন। এ হিসাবে তার মেয়াদ শেষ হবে নভেম্বরে, যখন বর্তমান সেনাপ্রধান অবসরে যাবেন। নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের কয়েকদিন আগেই দুজনকে চার তারকা জেনারেল হিসাবে পদোন্নতি দেওয়া হবে।

লে. জেনারেল ফাইজ হামিদ: পাকিস্তানে সেনাপ্রধান হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাইজ হামিদ। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া ও ফাইজের একে অপরের সম্পর্কে ভালো জানাশোনা আছে। কারণ তারা এক সময় একসঙ্গে কাজ করেছেন। তিন তারকা জেনারেল হিসাবে পদোন্নতি পাওয়ার পর প্রথম ফাইজকে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসাবে ২০১৯ সালের এপ্রিলে নিয়োগ দেওয়া হয়। মাত্র দুই মাস পরই তাকে আকস্মিকভাবে আইএসআইয়ের পরিচালক হিসাবে পদায়ন করা হয়।

লে. জেনারেল নোমান মাহমুদ: রেজিমেন্টের কর্মকর্তা নোমান মাহমুদ বালুচ। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট পদে আছেন। কোয়েটার কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে প্রধান প্রশিক্ষক হিসাবেও তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। নোমান মাহমুদ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মহাপরিচালক (অ্যানালাইসিস) হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সালে তাকে তিন তারকা জেনারেল হিসাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর