২ জুলাই শুরু
হওয়া অনলাইন হাটে ৮ জুলাই পর্যন্ত ২৬ হাজার ৩০৮টি পশু বিক্রি হয়েছিল। পরের পাঁচ দিনে
বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৮০টি পশু।
শুরুতে অনলাইন
হাটে পশু বিক্রি তেমন বেশি না হলেও পরবর্তী সময়ে বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে। এই হাটগুলোতে
৮ জুলাই থেকে সোমবার ১২ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ দিনে বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৮০টি
পশু। অথচ ২ জুলাই শুরু হওয়া অনলাইন হাটে ৮ জুলাই পর্যন্ত ২৬ হাজার ৩০৮টি পশু বিক্রি
হয়েছিল।
করোনা পরিস্থিতিতে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত ডিজিটাল পশুর হাট ও অন্যান্য অনলাইন হাট ছাড়াও প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপজেলাভিত্তিক হাট আয়োজন করেছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের
তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত অনলাইনে মোট পশু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৮৮টি,
যার অর্থমূল্য ১ হাজার ১১৬ কোটি ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৩০০ টাকা।
চলতি বছর কোরবানিযোগ্য
গবাদিপশুর সংখ্যা মোট ১ কোটি ১৯ লাখ। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ দশমিক ৩২ শতাংশ
পশু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। এই পরিসংখ্যান গত বছরের চেয়ে বেশি হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা
খুব সন্তুষ্ট নন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (খামার) জিনাত সুলতানা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে
আমরা আরও অনেক বেশি অনলাইন বিক্রি আশা করেছিলাম।
সারা দেশে এখন
পর্যন্ত ১ হাজার ৮৪৩টি প্ল্যাটফর্ম থেকে অনলাইন হাট পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে অধিকাংশই
ফেসবুকভিত্তিক। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মীদের নিজ এলাকার খামারিদের
খামার ঘুরে পশুর ছবি অনলাইনে আপলোড দেওয়ার কাজে নিয়োজিত করেছে।
জিনাত সুলতানা বলেন, ‘অনলাইনে পশু বিক্রি বাড়াতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত ডিজিটাল পশুর হাটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ফেসবুকভিত্তিক হাটগুলো যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে অনলাইনে পশু বিক্রি বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।