দেশের অস্তিত্ব
যদি হুমকির মুখে পড়ে তাহলে পারমাণবিক বোমা প্রয়োগ করতে পিছ পা হবে না রাশিয়া। ইউক্রেন
যুদ্ধের মাঝেই চরম বার্তা দিল ক্রেমলিন। বুধবার এক মার্কিন সংবাদ চ্যানেলকে ক্রেমলিনের
মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার একটি ধারণা আছে এবং তা সর্বজনীন। কোন কোন
ক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে, তার সমস্ত কারণ পড়তে পারেন আপনিও।’
এদিকে পেন্টাগনের
মুখপাত্র জন কারবি পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহারের বিষয়ে মস্কোর বক্তব্যকে
‘বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন। জন কারবি বলেন,
‘কোনও
দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তির এভাবে কাজ করা উচিত নয়।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টির উপর ধারাবাহিক ভাবে
নজর রেখে চলেছি।’
উল্লেখ্য, কয়েকদিন
আগেই ভ্লাদিমির পুতিন দেশে নিউক্লিয়ার ড্রিলের নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই পারমাণবিক হামলার
সম্ভাবনা দেখা দিতে থাকে। এই আবহে অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলি দাবি করেছে যে রাশিয়ার পারমাণবিক
অস্ত্র সম্প্রতি কোথাও সরানো হয়নি। তবে এরই মাঝে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা
করেছে ন্যাটো। যা নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন পুতিন। তবে অনেকেরই মত, পুতিন পারমাণবিক
হাতিয়ারের ‘জুজু’ দেখিয়ে পশ্চিমা শক্তিকে ইউক্রেন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন। ইউক্রেন
যাতে পশ্চিমা দেশগুলি থেকে সাহায্য না পায়, তার জন্যই এমন সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন যাতে
করে মনে প্রশ্ন জাগছে, রাশিয় কি তবে পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে? তবে আপাতত
এই প্রশ্নের কোনও সুস্পষ্ট জবাব নেই কারোর কাছেই।