Logo
শিরোনাম

‘পার্বত্য অঞ্চলর মানুষদের সমঅধিকারে বিশ্বাস করে সরকার’

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৩১৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পার্বত্য অঞ্চলের মানুষদের সমঅধিকারে বিশ্বাস করে বলে মন্তব্য মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত চার দিনব্যাপী পার্বত্য মেলা ২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন সাংবিধানিকভাবে একজন বাঙালি যে অধিকার ভোগ করবে, সে অধিকার পার্বত্য অঞ্চলের মানুষদেরও দিতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে যারা পশ্চাৎপদ তাদের সামনে নিয়ে আসার জন্য আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। সংবিধানে বলা হয়েছে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। এর পাশাপাশি অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীকে সমতাভিত্তিক জায়গায় আনার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ায় কথাও সংবিধানে বলা হয়েছে। সেভাবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষরা এগিয়ে যাচ্ছেন, সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রধান অতিথি আরও যোগ করেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর সাম্প্রদায়িক এবং প্রতিক্রিয়াশীল চক্র মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের চিত্র অন্য স্থানে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তারা পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি বিনষ্ট করতে চেয়েছিল, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে উশৃঙ্খলতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। তারা চেয়েছিল জাতিগতভাবে যারা পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করে তাদের যাতে স্বকীয়তা না থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পর এ জাতীয় অবস্থা যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য প্রশাসনিকভাবে সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া এখনও চলমান রয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, বিস্ময়কর সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ পরিবেশ যে অঞ্চলে বিরাজমান সেটা পার্বত্য অঞ্চল। এ কারণে বাংলাদেশকে বলা হয় সৌন্দর্যের লীলাভূমি। পাহাড়ের মানুষ-সমতলের মানুষ, পাহাড়ের সংস্কৃতি-সমতলের সংস্কৃতি একাকার হয়ে আছে আমাদের এ বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভেতর। পার্বত্য অঞ্চলের নিজস্ব সংস্কৃতি অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। তাদের ভাষা, প্রচলিত প্রথাগত জীবনযাপন, তাদের জীবন বৈশিষ্ট্য এগুলোকে ধরে রাখা না গেলে অপূর্ব সৌন্দর্যের সমন্বিত এক বাংলাদেশ এক সময় থাকবে না।

তিনি আরও যোগ করেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ভাষা, জীবনবোধ, চালচলন সবকিছু সংরক্ষণ করার জন্য যা যা করা দরকার রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেটা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে আরও বেশি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

কোন অঞ্চলকে অনুন্নত রেখে, পেছনে রেখে গোটা দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয় না উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, পাহাড়ী মানুষদের নেতৃত্ব সমতলের মানুষদের নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বিতভাবে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নে সমভাবে সমদৃষ্টি দিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে। পাহাড়ে আজ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ কি নেই। সকল উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পার্বত্য অঞ্চলে চলছে। শেখ হাসিনা সরকার ছাড়া দেশের পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে এভাবে অতীতে কেউ পদক্ষেপ নেয় নি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় এ অঞ্চলে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। এ অঞ্চল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি আগামীতে পার্বত্য অঞ্চল হবে এ দেশের সবচেয়ে সম্পদশালী এলাকা।

পার্বত্য অঞ্চলের কৃষিজ পণ্য, ফল-ফসলের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য, প্রচারের জন্য, জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর পার্বত্য মেলার আয়োজন করা হয় বলেও এ সময় জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী।

এর আগে প্রধান অতিথি পার্বত্য মেলা ২০২৩ এর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন গুজরানওয়ালার সন্ত্রাসবাদবিরোধী একটি আদালত। শুক্রবার আদালত রানা সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে এই নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজ। বিচারপতি রানা জাহিদ এই জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার গুজরানওয়ালার সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালত পুলিশের প্রতিবেদন খারিজ করে এবং রানা সানাউল্লাহকে আগামী ৭ মার্চ হাজির করার নির্দেশ দেন।

জনসভায় দেয়া একাধিক বক্তব্যে দেশটির বিচারবিভাগ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের হুমকি দেয়ার অভিযোগে রানা সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। গত বছরের আগস্ট মাসে রানা সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীবাদবিরোধী ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদনে (এফআইআর) বলা হয়েছে যে, ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ার পর্যন্ত রানা সানাউল্লাহ তার বিচার বিভাগের কাজ বন্ধ করার এবং পাঞ্জাব পুলিশ কর্মকর্তাদের সন্তানদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই মামলা দায়েরের পর শুক্রবার গুজরানওয়ালা আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে।

শুনানির শুরুতে মন্ত্রীর নাম বাদ দিয়ে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করে পুলিশ। তবে বিচারক সেই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে এবং গুজরানওয়ালার এসপি (তদন্ত), পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নোটিশ জারি করেছেন। পাশপাশি আদালত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগামী ৭ মার্চের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করারও নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




বিএনপির মানববন্ধন আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, কৃষি উপকরণ ও শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের উদ্দেশে এ মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলো।

জানা গেছে, বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন সঙ্গীদের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ বেলা ১১টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের উল্টো দিকে ফার্স হোটেলের সামনে, ১২ দলীয় জোট বেলা ১১টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন এলাকায়, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বেলা ১১টায় পুরানা পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে, গণফোরাম বেলা ১১টায় মতিঝিল অফিস সামনে নটরডেম কলেজ উল্টো দিকে থেকে, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জোট বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং এলডিপি দুপুর ৩টায় কাওরান বাজার এফডিসি সংলগ্ন অফিস সামনেসহ রাজধানীর আরও তিনটি স্থানে মানববন্ধন করবে।


আরও খবর



বিশ্ব নারী দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৩৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন- প্রতিপাদ্য সঙ্গে নিয়ে আজ বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হবে নারী দিবস। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারী-পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করা, নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্যে নানা আয়োজনে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় দিনটি।

তথ্যপ্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে নারীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে এই বছরের নারী দিবসের স্লোগান নির্বাচন করা হয়েছে। স্লোগানের তাৎপর্য তুলে ধরে জাতিসংঘ বলছে, বর্তমানে আমাদের জীবন শক্তিশালী প্রযুক্তিগত একীকরণের উপর নির্ভর করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেকোনো কাজ যেমন প্রিয়জনকে কল করা, ব্যাংক লেনদেন করা বা একটি মেডিক্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা সবকিছু একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। তা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী ৩৭ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। পুরুষদের তুলনায় ২৫৯ মিলিয়ন নারীর ইন্টারনেটে কমপ্রবেশাধিকার রয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে যে যদি নারীরা ইন্টারনেটে ব্যবহার না করেন অথবা অনলাইনে নিরাপদ বোধ না করেন তবে তারা ডিজিটাল দুনিয়ায় জড়িত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবেন না, যা তাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত সম্পর্কিত পেশা অর্জনের সুযোগ হ্রাস করবে। ধারণা করা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ চাকরি এই ক্ষেত্রগুলোর সাথে সম্পর্কিত হবে। ফলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর কম পদচারনার কারণে উন্নয়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় নানা আয়োজন। তবে এ বছর ৮ মার্চ শবে বরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটি। তাই কর্মসূচিতেও কাটছাঁট করা হয়েছে। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে প্রতি বছর ৮ মার্চ যে আয়োজন থাকে তা অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ।

বেলা আড়াইটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির যে প্রতিপাদ্য তা হলো- ডিজিটাল বিশ্ব হোক সবার: নারীর অধিকার সুরক্ষায় ও সহিংসতা মোকাবিলায় চাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন বৈষম্যহীন সৃজনশীল প্রযুক্তি।

'নারীজন্ম ধন্য হোক আপনভাগ্য গড়ার অধিকারে স্লোগানে নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে স্বপ্নদল প্রযোজনা হেলেন কেলার-এর বিশেষ মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি বছর দিবসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি জ্বালিয়ে আঁধার ভাঙার শপথ নেয় `আমরাই পারি' জোট। ৮ মার্চ রাত ঠিক ১২টা বেজে এক মিনিটে শহীদ মিনারে সম্মিলিতভাবে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই শপথ নেওয়া হয়। তবে এ বছর এই কার্যক্রম হবে না। নারীপক্ষসহ ৫২টি সংগঠন দিবসটি পালন করবে সন্তানের ওপর মায়ের অভিভাবকত্বের অধিকার প্রতিপাদ্য নিয়ে। ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় রমনা পার্কের অরুণোদয় গেটের সামনে জমায়েত হয়ে শুরু হবে পদযাত্রা।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে আজ সকাল সাড়ে দশটায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করবে।

উল্লেখ্য, এই দিনটির শুরু ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে সেসময় গ্রেফতার হন বহু নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় নারীশ্রমিক ইউনিয়ন। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারীশ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার। ১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমাকের্র কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। নারী দিবস হচ্ছে সেই দিন, যেই দিন জাতিগত, গোষ্ঠীগত, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনভাবে নারীর অর্জনকে মর্যাদা দেবার দিন। এদিনে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসকে স্বরণ করে এবং ভবিষ্যতের পথ পরিক্রমা নির্ধারণ করে, যাতে আগামী দিনগুলো নারীর জন্য আরও গৌরবময় হয়ে ওঠে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




ইউক্রেন ইস্যুতে ভোট না দেওয়ার কারণ জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনে বাংলাদেশের ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্যাখায় ঢাকা বলছে, প্রস্তাবে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় টেকসই ও বাস্তবসম্মত পথরেখা না থাকায় ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ভোটের ব্যাখ্যায় মুখপাত্র বলেন, আমরা এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাই। আমাদের অঙ্গীকারে প্রতিজ্ঞ যে জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি যেকোনো মূল্যে বহাল রাখা উচিত। এই বিষয়ে আমরা প্রস্তাবিত রেজুলেশনে ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তির প্রচারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব এবং সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানোর গুরুত্ব দেই।

সেহেলী সাবরীন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সংঘাতের যেকোনো অর্থবহ এবং টেকসই সমাধানের জন্য অবশ্যই সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে নিবিড় কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা ও সংলাপ প্রয়োজন। আমাদের মতে এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি রেজুলেশনে অনুপস্থিত ছিল। সে কারণে আমরা বিরত থাকতে বাধ্য ছিলাম।

মুখপাত্র বলেন, বঙ্গবন্ধুর সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি শত্রুতা  নয়-এ নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি শান্তিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে। সার্বভৌম সব রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং সম্মানের নীতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি জাতিসংঘের সনদে উল্লেখিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সেহেলী সাবরীন বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অবশ্যই সর্বজনীনভাবে সর্বত্র সবার জন্য, সব পরিস্থিতিতে কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই মেনে চলতে হবে। যদিও বর্তমান রেজুলেশনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি খোঁজা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবে ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, পাকিস্তানসহ ৩২টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

প্রস্তাবটিতে ভোটদানে বিরত থাকা আরও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো শ্রীলঙ্কা, আলজেরিয়া, বলিভিয়া, ইরান, কিউবা, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, ভিয়েতনাম ও জিম্বাবুয়ে।

এদিকে, যুদ্ধ বন্ধ করে রাশিয়াকে ইউক্রেন ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনীত রেজুলেশনে ভোটদানে বিরত থাকায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মস্কো।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




বাইডেনের আশ্বাসের পরও বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৩২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আমেরিকার আর্থিক ব্যবস্থা নিরাপদযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন আশ্বাসের পরও গতকাল সোমবার বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ব্যাংক প্রযুক্তিখাতে ঋণদানকারী সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) এবং সিগনেচার ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে দেশটির সরকারকে গ্রাহকদের আমানত রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হয়। এরই মধ্যে গতকাল এ দরপতনের ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এই খবর দিয়েছে।

এদিকে জো বাইডেন ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে করণীয় সবই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তার এই প্রতিশ্রুতিও বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক কাটাতে পারছে না। বিনিয়োগকারীদের ভয়, অন্যান্য ঋণদানকারী ব্যাংকেরও হয়তো পতন হতে পারে। আর এই শঙ্কাই বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের শেয়ারের পতন ঘটায়।

এর আগে গতকাল সোমবার দিনের এক পর্যায়ে স্পেনের স্যান্টান্ডার এবং জার্মানির কমার্জ ব্যাংক তাদের শেয়ারের দর ১০ শতাংশেরও বেশি পতন দেখে। তবে ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের ছোট ছোট ব্যাংকগুলোর শেয়ারের দরপতন বেশি হয়েছে। এমনকি আর্থিক ধাক্কায় থেকে গ্রাহকদের রক্ষায় প্রয়োজনের তুলনায় অধিক তারল্য আছে নিশ্চয়তা দেওয়ার পরও এই দরপতন ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর।

অন্যদিকে, এই অস্থিরতার মধ্যে গুঞ্জন তৈরি হয়, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদের হার বাড়ানোর যে পরিকল্পনা আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ করেছিল, সেই পরিকল্পনা স্থগিত করা হবে।

গতকাল বাইডেন বলেন, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে যেসব মানুষ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অর্থ জমা রেখেছিল তারা সোমবার থেকে তাদের সব অর্থ ফেরত পেতে শুরু করবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়। কারণ ব্যাংক দুটির পতনের পর অনেক ব্যবসায়ী গ্রাহকের অর্থ আটকে যাওয়ায় তাদের কর্মীদের বেতন ও সাপ্লাইয়ারদের মূল্য পরিশোধ করতে পারেনি।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩