মানিকগঞ্জের
পাটুরিয়া ঘাটে জড়ো হয়েছেন ঈদযাত্রায় সামিল হওয়া কয়েক লাখ ঘরমুখো মানুষ। যাত্রীদের উপচেপড়া
ভিড়ের কারণে ঘাট এলাকার কোথাও পা রাখার ঠাঁই নেই। শুক্রবার ভোর থেকে পাটুরিয়া ঘাটে
এসব চিত্র দেখা যায়।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া
নৌ-রুটে মাত্র ২৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে ঘরে ফেরা
যাত্রীরা ভিড়ের কারণে লঞ্চে উঠতে না পেরে ফেরিতে নদী পার হতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকই আবার
আগে গন্তব্যে পৌঁছার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে লঞ্চে নদী পার হচ্ছেন।
ঘাটে যাত্রীদের
উপচেপড়া ভিড়ের কারণে কাটা লাইন বাসের যাত্রীদের ফেরিতে বেশি পারাপার করছেন সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে পাটুরিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে ফেরি পারাপারের ক্ষেত্রে যানবাহনের
চেয়ে কাটা লাইনের বাসের যাত্রীদের বেশি দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ জানান, ঘাট এলাকাকে যানজট
মুক্ত রাখতে লঞ্চ পারাপার যাত্রীদের লঞ্চ ঘাট থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে বাস থেকে
নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এতে প্রায় আধা
কিলোমিটার পায়ে হেঁটে লঞ্চ ও ফেরিতে উঠতে বাধ্য হচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। ব্যাগপত্র
নিয়ে কষ্ট করে পায়ে হেঁটে লঞ্চ-ফেরিতে উঠতে হলেও তাদের চোখে মুখে কোনো কষ্টের ছাপ লক্ষ্য
করা যায়নি। উল্টো হাসি মুখেই আপনদের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন
তারা।
ঘাট কর্তৃপক্ষ
জানান, প্রতি বছর ফেরি পার হওয়ার জন্য ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে দুর্ভোগ
পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। এ কারণে এবার ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীরা সরাসরি ফেরি পার হওয়া
বাসে কম এসে লঞ্চ পার হওয়া বাসে বেশি আসছেন।
এ সুযোগ কাজে
লাগিয়ে দুর্নীতিবাস লঞ্চ মালিক শ্রমিকরা লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করছেন বলে যাত্রীরা
জানিয়েছেন। তবে লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহিম খান অবশ্য যাত্রীদের
অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, নিয়ম মেনেই নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী পার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির
আরিচা অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) খালেদ নেওয়াজ জানান, এ নৌ-রুটে ২১টি ফেরি
দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এ কারণে ঘাট এলাকায় এখনও তেমন যানজট সৃষ্টি হয়নি।
লঞ্চে নদী পার হওয়া যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে তাদেরকেও ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে।