মাদারীপুর জেলার
রাজৈর উপজেলা এবং শ্রীনগর উপজেলার মধ্য দিয়ে পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে ওভারহেড কেবল লাইন
ক্রসিংয়ের ক্ষেত্রে মূল নদীতে বৈদ্যুতিক টাওয়ার স্থাপন করা যাবে না বলে মতামত দিয়েছে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএ
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিসিপিসিএল) এর আওতায়
নির্মাণাধীন পায়রা-গোপালগঞ্জ- আমিনবাজার ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন (২য় ফেইজ)
নির্মাণ করা হচ্ছে। এজন্য পদ্মাসেতুর উজানে মূল পদ্মা নদীতে বৈদ্যুতিক টাওয়ার বসাতে
চায় বিসিপিসিএল। তবে নদীর মূল চ্যানেলে টাওয়ার না বসানোসহ অটটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
সম্প্রতি বিসিপিসিএল
এর পক্ষ থেকে ৮ নম্বর শর্ত তুলে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক চিঠি দিয়েছেন
বিআইডব্লিউটিএর কাছে।
উল্লেখিত চিঠিতে
বলা হয়েছে, বিআইডব্লিউটিএর হাইড্রোগ্রাফিক
চার্টের তথ্যানুযায়ী দেখা যায় যে, মূল পদ্মা নদীর প্রশস্ততা, সে জায়গায় বৈদ্যুতিক টাওয়ার
স্থাপন না করে অতিক্রম করা সম্ভব নয়। পদ্মা নদীর মধ্যে নুন্যতম সংখ্যক বৈদ্যুতিক টাওয়ার
স্থাপনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। স্প্যানের সর্বোচ্চ ৮৫৫ মিটার বিবেচনায় নিয়ে পদ্মা
নদীর এই অংশের ডিজাইন করা হয়েছে। ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) তাদের জরিপে
বলেছে পদ্মা নদীতে টাওযার স্থাপনের প্রভাব নগন্য।
বিআইডব্লিউটিএ
শর্তগুলো হলো- বৈদ্যুতিক ইনডাকশন হতে নিরাপত্তার জন্য সর্বনিম্ন ঝুলন্ত তার হতে উলম্ব
ছাড়ের (ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স) থেকে ৩.০৫ মিটার বেশি যোগ করতে হবে,
Vertical
Clearance, SJHWL থেকে পরিমাণ লেভেল নির্ধারণের সময় বিআইডব্লিউটিএ'র হাইড্রোগ্রাফি
বিভাগের এক জন প্রতিনিধি রাখতে হবে, নদীর ক্রসিং পয়েন্ট সমূহে স্থাপিত ক্যাবল অবশ্যই
সঠিকভাবে ইনসুলেশন করা থাকতে হবে, অতিক্রমন লাইনের উভয় পাশে স্থাপিত পোলে ছাড়ের পরিমাণ
সু-স্পষ্টাক্ষরে লিখতে হবে যেন সঞ্চালন লাইন অতিক্রমন কালে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক ওভারহেড
লাইন নির্মাণের সময় মাটি বা বলির মাধ্যমে ভরাট করে কোনো ভাবেই নদী সংকুচিত করা যাবে
না, নৌযান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে অব্যবহৃত যাবতীয় কার্যক্রম ব্রিজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান
কর্তৃক নিজ উদ্যোগে সম্পন্ন করবেন, বৈদ্যুতিক ওভারহেড লাইন নির্মাণ কাজ শেষে সকল ধরনের
অব্যবহৃত/পরিত্যক্ত উপকরণ নিজ দায়িত্বে নদী থেকে অপসারণ করতে হবে।
নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক বিআইডব্লিউটিএর এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা ব্রিজের দুই কিলোমিটার উজান
দিয়ে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন রয়েছে। নিতেই এ লাইনের কারণে নৌযান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
প্রচন্ড স্রোতের কারণে জাহাজ ঠিকভাবে চলাচল করতে পারে না। এমতাবস্থায় পদ্মা নদীর ওপর
দিয়ে আরো একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন নেওয়ার জন্য নদীতে টাওয়ার বসালে সমস্যা হবে।
যেকেনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এ কারণে পদ্মা নদীর মূল চ্যানেলে টাওয়ার বসানো যাবে
না বলে মতামত দেয়া হয়েছে।