Logo
শিরোনাম

পদ্মা সেতু দিয়ে সময়মতো চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে পাটপণ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৯১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সোনালি আঁশ পাটের জন্য খ্যাত ফরিদপুর জেলা। এই জেলার ব্র্যান্ডিং স্লোগান সোনালি আঁশে ভরপুর/ ভালোবাসি ফরিদপুর। এই জেলায় মানসম্পন্ন পাট উৎপাদিত হয়, যা পৃথিবীজুড়ে সমাদৃত। জেলায় রয়েছে বাইশটি জুটমিল। এসব মিলের উৎপাদিত পাটপণ্য সুতা রফতানি করা হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু ফেরিঘাটে যানজটের কারণে সেসব পণ্য চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে সময়মতো পৌঁছানো সম্ভব হতো না। এ জন্য বিদেশি ক্রেতাদের কাছে চুক্তির খেলাপ হতো মিল মালিকদের। ফেরিঘাট থেকে ফিরে আসতো রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক। ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন মিল মালিকরা। বন্ধ থাকতো জুটমিল, শ্রমিকরা হয়ে পড়তেন কর্মহীন। পদ্মা সেতু চালুর ফলে পাটপণ্য রফতানিতে এই ভোগান্তি আর থাকবে না।

পদ্মা সেতু দিয়ে জুটমিল মালিকরা সময়মতো চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য নিয়ে যেতে পারবেন। সেখান থেকে বিদেশে সঠিক সময়ে পণ্য পৌঁছাবে। লাভবান হবেন ব্যবসায়ীরা। এই এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি পণ্য উৎপাদন করতে পারবে। কর্মসংস্থান হবে বহু মানুষের। 

ফরিদপুরের প্রাইড জুট মিলস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মৃধা মো. বদিউজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ। ব্যবসায়িকভাবে আমরা লাভবান হবো। আমরা পাট থেকে সুতা তৈরি করে থাকি। ওই সুতা চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বিদেশে রফতানি করি। চট্টগ্রামে মালামাল পৌঁছাতে ফেরিঘাট ব্যবহার করতে হতো। ফেরিঘাটে কখনও কখনও দুই থেকে তিন দিন যানজটে আটকে থাকতো ট্রাক। সময়মতো পণ্য পৌঁছাতে পারতাম না। জাহাজ ছেড়ে যেত, শিডিউল মেলাতে পারতাম না। বিদেশের ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি অনেক সময় বাতিল হয়ে যেত। পণ্য ফেরত আনতে হতো, ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতাম। কিন্তু এখন পদ্মা সেতু চালু হলে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। অল্প সময়ের মধ্যেই পণ্য চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারবো।

ওই জুট মিলের নারী শ্রমিক রাশেদা খাতুন বলেন, ফেরিঘাটের যানজটের কারণে মাল নিয়ে ট্রাক আটকে থাকতো। এ জন্য বিদেশে সুতা পাঠানো যেত না, ফেরত আনতে হতো। এ কারণে অনেক সময় মিল বন্ধ রাখতেন মালিকরা। এখন সেতু চালু হলে এই সমস্যায় পড়তে হবে না। মিলও বন্ধ থাকবে না, আমাদের রোজগার ঠিক থাকবে।

দাহমাশি জুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জিএম (প্রশাসন ও অপারেশন) কর্নেল (অব.) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে সময় বাঁচবে। সময় বাঁচলে অর্থ বাঁচবে, ফলে লাভবান হতে পারবো আমরা। আমরা সাধারণত তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, এল সালভাদর, চায়না ও আমেরিকাতে পাট থেকে তৈরি সুতা রফতানি করে থাকি। পদ্মা সেতু চালুর ফলে ফেরিঘাটের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাবো। তা ছাড়া প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ কমে যাবে। আগে ঘাটে ট্রাক আটকে থাকতো, ভাড়া বেশি দিতে হতো। সেতু দিয়ে মালামাল এখন পাঠাতে পারবো। সময়ও বাঁচবে, খরচও কম হবে। আবার বায়ারদের সঙ্গে সম্পর্কও ভালো থাকবে। ফেরিঘাটের যানজটের কারণে সময়মতো পোর্টে মালামাল পাঠাতে পারতাম না। এ কারণে অনেক সময় জাহাজ ছেড়ে চলে গেছে বা দেরি করে ছাড়ায় ভাড়া বেশি দিতে হতো। এখন আর তেমন কোনও সমস্যা হবে না।

ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মহসিন শরিফ বলেন, জেলায় বাইশটি জুট মিল রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ঊনিশটি চালু রয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটির জায়গা কিনে রাখা হয়েছে। সেগুলোর অবকাঠামোগত কাজ শুরু হবে শিগগিরই। জুটমিল মালিকদের একটি বড় সমস্যা, তাদের উৎপাদিত পণ্য শিপমেন্ট করা। অনেক সময় ফেরিঘাটের কারণে তারা পণ্য সঠিক সময়ে পাঠালেও ঘাটে আটকে থাকতো। বায়ারদের কাছে সময়মতো মালামাল পৌঁছাতো না। অনেক বায়ার পণ্যচুক্তি বাতিল করতো। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়তেন ব্যবসায়ীরা, তারা কথা রাখতে পারতেন না শুধুমাত্র ফেরিঘাটের যানজটের কারণে। পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নতুন নতুন দুয়ার খুলে দিচ্ছে। শুধু জুটমিল মালিকরাই  লাভবার হবেন তা নয়, এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে। এর সুফল পাবেন সবাই।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ফরিদপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ড. হজরত আলী বলেন, পাটের জন্য বিখ্যাত এই জেলা। সোনালি আঁশের জন্য সুখ্যাতি রয়েছে এই জেলার। চলতি মৌসুমে জেলার দেড় লক্ষাধিক চাষি পাটচাষ করেছেন। জেলায় মোট এক লাখ ২৪ হাজার হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে এই মৌসুমে ৮৬ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে যা থেকে উৎপাদন হবে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বেল (১৮০ কেজিতে ১ বেল) পাট। জেলার জুটমিলগুলোতে এই এলাকার অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর