Logo
শিরোনাম

‘পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির শত্রু, এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে’

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে তারা জাতির শত্রু, তাদের চিহ্নিত করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। পদ্মা সেতুর ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজার বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানিকালে সোমবার (২৭ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

হাইকোর্ট প্রশ্ন রেখে বলেন, ষড়যন্ত্র না হলে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হলো কীভাবে? পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে, তারা জাতির শত্রু, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।’ পরে আদালত অধিকতর রুল শুনানি ও আদেশের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ জুন) দিন ধার্য করেন।

পদ্মা সেতু নির্মাণের বিপক্ষে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একইসঙ্গে এ জাতীয় অন্যান্য দৈনিকের প্রতিবেদনেও শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অনেকের নাম উঠে আসে। সেসব প্রতিবেদন ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনগুলো আমলে নিয়ে স্বঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্ট পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যা গল্প সৃষ্টিকারী ও প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে তাদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এছাড়াও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা) অনুসারে কমিশন বা কমিটি গঠন এবং এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ৩০ দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর কয়েকদফা সময় নেওয়ার পরও কমিশন গঠন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। তবে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে কমিশনের সদস্য হিসেবে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামানের নাম সুপারিশ করা হয়।


আরও খবর