Logo
শিরোনাম

পদ্মা সেতু: রাজধানীতে বাড়াবে গাড়ির চাপ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আগামী ২৫ জুন চালু হচ্ছে পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে। এতে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলসহ ৪১ জেলার যোগাযোগ সহজ হবে। কম সময়ে রাজধানীতে আসতে পারবে মানুষ। সেইসঙ্গে বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ছেড়ে আসা বাসের সংখ্যাও বাড়বে। এসব বিষয় মাথায় রেখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ এরই মধ্যে রাজধানীতে ঢোকার রাস্তাগুলো নিয়ে কর্মপরিকল্পনা করছে। রাজধানীতে তুলনামূলক গাড়ির সংখ্যা বাড়বে। এর ফলে কোন রাস্তায় কী ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে, সেগুলো চিহ্নিত করে অগ্রিম ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে ট্রাফিক বিভাগ।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ বলছে, রাজধানীতে ঢোকার প্রতিটি রাস্তায় যানজট রয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে বিশেষ করে ওয়ারী, মতিঝিল ও লালবাগ দিয়ে গাড়িগুলো রাজধানীতে প্রবেশ করবে। এতে করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যাতায়াত ও গাড়ির গতি ঠিক রাখতে রাস্তায় সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। মাওয়া পার হওয়ার পর যানবাহনগুলো যাতে স্বল্প সময়ে রাজধানীতে ঢুকতে পারে, টার্মিনালে পৌঁছাতে পারে, যেন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। টার্মিনালগুলোতে ধারণক্ষমতা পর্যালোচনা করে গাড়ির সংখ্যা পর্যালোচনার পাশাপাশি কী ধরনের বাড়তি গাড়ির চাপ হতে পারে, সে বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে। সব বিষয় মাথায় রেখেই গাড়ির চাপ সামলে কীভাবে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যায়, গাড়িগুলোর আসা-যাওয়া নিশ্চিত করা সম্ভব হয়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা এবং কাজ চলমান রয়েছে।

এরইমধ্যে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বেশ কিছু পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া রোড দিয়ে রাজধানীতে ঢোকার জন্য মূলত দুটি রাস্তা রয়েছে, যার একটি বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে এবং অন্যটি শ্যামপুর জুরাইন হয়ে। বর্তমানে সে সব রাস্তা দিয়ে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে, সে বিষয়ে সার্ভে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কী পরিমাণ যানবাহন এবং কী ধরনের যানবাহন এই দুই সড়ক দিয়ে ঢাকায় ঢুকবে, তাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

ট্রাফিক পুলিশ ধারণা করছে, পদ্মা সেতু চালু হলে বিভিন্ন যানবাহন গাবতলী দিয়ে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ রাস্তাটি ব্যবহার করে মাওয়া রোডে গিয়ে ওঠবে। এ কারণে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের রাস্তাটিতে যানবাহনের সংখ্যা বাড়বে। সেই সঙ্গে যানজট বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কীভাবে বাড়তি যানবাহনের চাপ সামলে চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায়, সে বিষয়েও কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। কোন কোন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ ছাড়াও অন্যরা নিয়োজিত থাকবে, সে বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

ট্রাফিক বিভাগ আরও বলছে, পদ্মা সেতু চালু হলে ফেরি পারাপারের কোনও ঝামেলা থাকবে না। গাড়িগুলো মাওয়া হয়ে রাজধানীতে চলে আসতে পারবে। যেসব রুট দিয়ে গাড়ি রাজধানীতে প্রবেশ করবে কিংবা রাজধানী থেকে বের হবে, সেসব রুটে যেন কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামার কারণে যেন যানজট সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়েও লক্ষ রাখা হচ্ছে। যে সব রোড দিয়ে গাড়ি চলাচল বেশি হয়, সে সব রোডের দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। রাস্তাগুলোর পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিক পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পদ্মা সেতু পার হয়ে আসা গাড়িগুলোর রাতে ঢাকায় ঢোকার এন্ট্রি পয়েন্ট ফ্রি রাখা গেলে যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এন্ট্রি পয়েন্টগুলো সচল রাখার ক্ষেত্রে কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতা যেন সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। কোনও গাড়ি যেন ঢাকায় ঢোকার ক্ষেত্রে কোনও ধরনের ধীর গতির এবং যাত্রী ওঠাতে ও নামাতে না পারে সে বিষয়গুলো নজরে রেখেই ট্রাফিক বিভাগ নতুনভাবে কর্মপরিকল্পনা করছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, যেসব গাড়ি পদ্মা সেতু হয়ে রাজধানীতে ঢুকবে, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ঠিক রেখে সেসব গাড়ি রাজধানী ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সর্বাত্মক দায়িত্ব পালন করবে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। গাড়িগুলো তাড়াতাড়ি রাজধানীর নির্ধারিত জায়গায় আসতে পারার বিষয়টি ঠিক রাখা গেলে কোনও ধরনের যানজটের সৃষ্টি হবে না। রাস্তাগুলো ফ্রি থাকলে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

রাজধানীর টার্মিনালগুলোতে অতিরিক্ত বাসের কারণে চাপ এবং টার্মিনালকেন্দ্রিক যানজট বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাফিকের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা অনেক সময় লক্ষ করি, টার্মিনালগুলোতে ধারণক্ষমতা পূরণ হওয়ার পর অনেক বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তায় রাখা হয়। এটা অনেকটাই যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাজধানীর সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল দুটি অনেক পুরনো। সে সময়ের যানবাহনের ওপর ভিত্তি করে টার্মিনালগুলো গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে গাড়ির সংখ্যা বাড়লেও টার্মিনালের পরিসর বাড়েনি। যে কারণে একের পর এক বাস আসতে থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই টার্মিনালের ভেতর জায়গা না হওয়ায় রাস্তায় রাখা হয়। রাস্তায় কেউ যেন এলোপাতাড়িভাবে যানবাহন রাখতে না পারে, সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর