উদ্বোধনের পর মাত্র ২০ দিনেই মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে পদ্মাসেতু পাড়ি দিয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার ৩১২ যানবাহন। আর এসব যানবাহন থেকে আদায় করা হয়েছে ৫২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫০ টাকার টোল। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই এ সেতু থেকে টোল আদায়ের পরিমাণ অর্ধশত কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সেতু কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ দিনে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৪১৬ যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ২৬ কোটি ৮১ লাখ ৫৯ হাজার ২৫০ টাকা। অন্যদিকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাড়ি দিয়েছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৯৬ যানবাহন। এতে আদায় হয়েছে ২৫ কোটি ৭৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা।
পদ্মা সেতুর টোল ব্যবস্থাপনা ও মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় দায়িত্বে থাকা পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের, নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান বণিক বার্তাকে জানান, ঈদের সময় রাজধানী ছেড়ে বাড়ি ফেরা মানুষের যে বাড়তি চাপ ছিল তা সফলভাবে সামলানো গিয়েছে। অতীতে এ অঞ্চলের মানুষের ফেরিঘাটে যে ভোগান্তির অভিজ্ঞতা ছিল, এবার তা একেবারে বদলে গিয়েছে।
যানবাহন পারাপার এখন স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা আরো বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মথ্যে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন টোল আদায়ে আরও আধুনিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করবে। এতে টোল আদায়ের সক্ষমতা আরো বাড়বে এবং টোল আদায় কার্যক্রম আরো দ্রুতগতির হবে।
বর্তমানে সেতুর ৬টি লেন দিয়ে ঘণ্টায় এক হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ গাড়ির টোল আদায় করা হয়। ডিসেম্বরের পর এ হার আরো বাড়বে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, এখন মাওয়া প্রান্তে ক্যাশ ট্রানজেকশনে টোল আদায় হচ্ছে, পাশাপাশি একটি হাইব্রিড লেনে ক্যাশ ও ইলেকট্রনিক ট্রানজেকশনের লেন রয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে টোল প্লাজায় একটি ইটিসি লেনও থাকবে। এছাড়া ইমারজেন্সি লেন থাকবে জরুরি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন পারাপারের জন্য।