পদ্মা নদীতে
পানি বেড়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের দুই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়া অব্যাহত
থাকায় চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক
হাজার হেক্টর ফসলি জমি। লোকালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন
বোর্ডের তথ্যমতে, দশ দিন ধরে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। পানি ভারতের ফারাক্কা
হয়ে পদ্মায় পড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বাড়ছে। মঙ্গলবার
সকালে ভাগজোত পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৪.৫৯ সেন্টিমিটার। বিপৎসীমা হলো ১৫.৭০ সেন্টিমিটার।
অর্থাৎ বিপৎসীমার ১.১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার এই ধারা
অব্যাহত থাকলে আগামী শুক্র-শনিবার নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।
দেখা যায়, দুদিন
আগেও যেসব এলাকা শুকনো ছিল, এখন সেখানে পানিতে থই থই করছে। সোনাতলা, চিলমারী, চরচিলমারীসহ
কয়েক গ্রামের কয়েকশ পরিবারের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ধারাবাহিক পানি বাড়া অব্যাহত
থাকায় চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এরই মধ্যে চলাচলের
সড়কপথ পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দু-একদিনের মধ্যে বাড়িঘরে পানি ঢুকে
পড়বে। ফিলিপনগর, মরিচা, চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর চরাঞ্চলের কয়েক শ হেক্টর জমির মরিচ,
কলা, ধান, মাষকলাইসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল তলিয়ে গেছে। হঠাৎ করে পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ায়
কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
রামকৃষ্ণপুর
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল বলেন, পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ায় রামকৃষ্ণপুর
ও চিলমারী ইউনিয়নের ৬ হাজারেরও বেশি কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে
পড়েছে। তবে বাড়িঘরে এখনও পানি প্রবেশ করেনি।
উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল জব্বার বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছে। পানিবন্দি
মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৌলতপুর আসনের
সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, পদ্মায় হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায়
চার ইউনিয়নের মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন মূল
ভূখণ্ড থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।