আর্থিক প্রতিষ্ঠান
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) সিংহভাগ
ঋণের সুবিধাভোগী প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের টাকার খোঁজে তার ঘনিষ্টজন শংখ বেপারীকে
গ্রেপ্তার করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের জনসংযোগ
কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শংখ বেপারীকে জিজ্ঞাসাবাদ
করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন।
এর আগে বিদেশে
অর্থ পাচারের অভিযোগে আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পি কে হালদারের টাকার
খোঁজে তার ঘনিষ্টজন ব্যবসায়ী শংখ বেপারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। গতকাল সোমবার দুপুর
১২ টা থেকে সেগুনবাগিচা দুদক কার্যলয়ে শুরু হয় এ জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গেছে, পি
কে হালদার জালিয়াতির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে নামে-বেনামে প্রায় আড়াই হাজার
কোটি টাকা বের করে নেন। এ কারণে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং গ্রাহকের আমানতের টাকাও ফেরত
দিতে পারছিল না। এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে শোরগোল শুরু হলে গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান
পি কে হালদার।
পি কে হালদারের
কারণে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ আরও কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিপদে পড়ে যায়। প্রতিষ্ঠানগুলো
একপ্রকার দেউলিয়া হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় টাকা ফেরত পেতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের একাধিক
গ্রাহক আদালতের শরণাপন্ন হন। পরে হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে সাবেক ডেপুটি
গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন।
আদালতের আদেশে
চেয়ারম্যান হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের দায়িত্ব নিয়ে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ দেখেন
পি কে হালদার লুটপাট করে প্রতিষ্ঠানটিকে এতটাই খারাপ অবস্থায় নিয়ে গেছেন, যেটিকে স্বাভাবিক
প্রক্রিয়ায় টেনে তোলা সম্ভব নয়। পরে দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর হাইকোর্ট গত
মার্চে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান হিসেবে সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খানকে নিয়োগ
দেন।
এরপর পি কে হালদারের
সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং যোগাযোগ স্থাপন করে। একপর্যায়ে পি কে হালদার দেশের বাইরে
থেকে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক কেলেঙ্কারির দায় স্বীকার করে দেশে ফিরে এসে অর্থ ফেরত দেওয়ার
আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ জন্য আবেদনও করেন। ওই আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ইন্টারন্যাশনাল
লিজিংয়ের পক্ষে আদালতের জিম্মায় পি কে হালদারকে দেশে ফেরত আসার সুযোগ দেওয়ার আবেদন
করা হয়।