Logo
শিরোনাম

পিকনিকের বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৭৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে কক্সবাজারগামী একটি একটি পিকনিকের বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই নেত্রকোনা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসেন জানান, নেত্রকোনা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি পিকনিক বাসের সঙ্গে চুনতি এলাকায় লবণ বোঝাই একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

দুর্ঘটনায় পিকনিকের বাসের অন্তত ৩০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, দুটি গাড়িই আটক করা হয়েছে। তবে চালকরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


আরও খবর



এবার হজ পালনে ৪ শর্ত দিলো সৌদি সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৯৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হজ। করোনা পরিস্থিতির উন্নতির কারণে চলতি বছর হজের ক্ষেত্রে কোনো বয়সসীমা থাকছে না।গত বছর ৬৫ বছরের বেশি ব্যক্তির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এ বছর এটি আর থাকছে না। চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজে যেতে নিবন্ধন শুরু হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে, শেষ হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি।

তবে এবার পবিত্র হজ পালনে চারটি শর্ত দিয়েছে সৌদি সরকার। শর্তগুলো জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দেশটি। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার শর্তগুলো প্রকাশ করেছে। সৌদি সরকারের দেওয়া শর্তগুলো হলো

১. করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯), মেনিনজাইটিস এবং সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দিতে হবে।

২. যারা হজ করেননি এবারের হজে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া।

৩. হজে পালনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১২ বছর।

৪. হজযাত্রীর কোনো বড় দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকা যাবে না।

এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে হজ করতে জনপ্রতি ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা খরচ হবে এবং ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ করার সুযোগ পাবেন। তবে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই হজযাত্রীর প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।


আরও খবর

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩

পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ

বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




গর্ভধারণ-সন্তান প্রসবে বিশ্বে ২ মিনিটে ১ নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব সংক্রান্ত জটিলতায় বিশ্বজুড়ে প্রতি দুই মিনিটে এক নারীর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: এএফপির।

তবে ২০ বছরের ইতিহাসে মাতৃত্বজনিত মৃত্যু এক-তৃতীয়াং কমেছে। ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এই মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমলেও ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কমতির হার অনেক কম। তবে কিছু এলাকায় তা বেশ কমেছে।

২০ বছরে বিশ্বে গড় মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহার ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। ২০০০ সালে যেখানে এক লাখ সন্তান জন্মদানের ঘটনায় ৩৩৯ মায়ের মৃত্যু ঘটত, ২০২০ সালে এসে তা ২২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য জানানো হয়ে। এর মানে ২০২০ সালে প্রতিদিন ৮০০ নারীর মৃত্যু হয়েছে অর্থাৎ প্রতি দুই মিনিটে একজন।

বেলারুশ এক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। দেশটিতে মাতৃত্বজনিত মৃত্যু সাড়ে ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে ভেনিজুয়েলায় এই কারণে সবচেয়ে বেশি নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে মাতৃত্বজনিত মৃত্যু ব্যাপকহারে বেড়েছে।

ডব্লিউএইচও প্রধান ডা. টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস বলেন, গর্ভধারণ যেখানে নারীর সবচেয়ে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা ও আশাবাদী হওয়ার সময়, সেখানে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি নারীর জন্য এটিই সবচেয়ে আতঙ্কজনক অভিজ্ঞতা হিসেবে রয়ে গেছে। নতুন পরিসংখ্যান বলছে, নারী ও মেয়েদের গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। তাহলে তারা সুষ্ঠুভাবে সন্তান জন্মদানের অধিকার চর্চা করতে পারবেন।

জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যকার সময়ে আট অঞ্চলের মধ্যে মাত্র দুটিতে মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহার কমেছে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ৩৫ শতাংশ এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় ১৬ শতাংশ কমেছে।

ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

ইউরোপের গ্রিস ও সাইপ্রাসে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে প্রতিবেদনটির লেখক জেনি ক্রসওয়েল সাংবাদিকদের বলেছেন। বিশ্বের দরিদ্রতম অঞ্চলে এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাতৃত্বজনিত মৃত্যুকে এখনও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়।

২০২০ সালে মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশ ঘটেছে সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের তুলনায় তা ১৩৬ গুণ বেশি।

নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত আফগানিস্তান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ, ডিআর কঙ্গো, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনে মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহার বিশ্বের গড় হারের চেয়ে দিগুণ।

মারাত্মক রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ, অনিরাপদ গর্ভপাত এবং এইচআইভি/এইডসের মতো অন্যান্য সমস্যা মাতৃত্বজনিত মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখা গেছে। ডব্লিউএইচও বলছে, এগুলোর প্রায় সবই প্রতিকার ও চিকিৎসাযোগ্য।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম বলেন, বিনা কারণ এই নারী মৃত্যু একদমই অগ্রহণযোগ্য। পরিবার পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করে আমাদের আরও ভাল অবস্থা তৈরি করা উচিত। বিশ্বজুড়ে ৯ লাখ ধাত্রী সংকটের সমাধানও করা সম্ভব।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীরা নির্যাতিতের হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়েছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্দেশিত তদন্ত কমিটির ডাকে মুখোমুখি হন ভুক্তভোগী ছাত্রী ও অভিযুক্তরা।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় তদন্ত কমিটির আহবায়কের কক্ষে ভুক্তভোগীসহ ৫ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় এক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকাল ৪টায় তারা কক্ষ ত্যাগ করেন।

পরে প্রক্টরিয়াল বডির গাড়িতে পৃথকভাবে তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভুক্তভোগী সাহসের সাথে গণমাধ্যমের সাথে কথা বললেও কোন প্রশ্নের জবাব দেননি অভিযুক্তরা।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, আমি অভিযুক্তদের চিনিয়ে দিয়েছি। তারা আমার হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছে। আমি বলেছি আমি এবিষয়ে কিছু বলতে চাই না। প্রশাসন যা ব্যবস্থা নিবে তাই হবে। তাদের কান্না কান্না ভাব ছিল। আপনি তাদের দেখ ভয় পেয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন ভয় পায়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ খুলেননি। অভিযুক্ত তাবাসসুম বলেন, আমি যা বলার তদন্ত কমিটিকে বলে দিয়েছি। আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

এর আগে, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলমের ডাকে বাবার সঙ্গে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক. ড শফিকুল ইসলাম ও জয়শ্রী সেন তাকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে ভুক্তভোগীকে হলে নিয়ে যান।

এসময় ভুক্তভোগী ছাত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, আমার শরীরের অবস্থা খুব ভালো নাই আবার খারাপও না। তদন্ত কমিটি তদন্ত করছে। আশা করি সুষ্ঠু বিচার হবে।

এদিকে, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন হাইকোর্টের নির্দেশনায় গঠিত তদন্ত কমিটি। এসময় তারা প্রক্টর অফিসে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদের সাথে সাক্ষাত করেন।

সাক্ষাত শেষে দুপুর ১টার দিকে তারা সেই হলে যান। সেখানে হল কমিটি ও হাইকোর্টের নির্দশনায় গটিত তদন্ত কমিটি ভুক্তভোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকাল পৌনে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশিত তদন্ত কমিটির ডাকে তদন্ত কমিটির আহবায়কের কক্ষে যান।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, সেদিনের ঘটনার পর আজকেসহ চারবার আসলাম। প্রতিবার আসতে ও যেতে প্রায় চার ঘন্টা করে আট ঘন্টা সময় লাগে। এছাড়াও প্রতিবার ৫০০/৬০০ টাকা খরচ হয় যা আমার জন্য কষ্টকর। আমি তো আর প্রশাসনকে বলতে পারি না যে এখানে থাকবো। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে তাহলে ভালো হয়।

সহকারী প্রক্টর সাজ্জাদুর রহমান টিটু বলেন, আমরা ভুক্তভোগীকে নিরাপত্তা দিয়ে আলাউদ্দিন নগর পর্যন্ত পৌছে দিয়েছি। পরে তারা নিজব ব্যবস্থাপনায় বাসায় যান।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে (আইটি) দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে একবিংশ শতাব্দীর নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আজ বিকেলে রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর ষষ্ঠ সমাবর্তন-২০২৩ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। প্রাথমিক থেকে উচ্চতর স্তরে সর্বত্রই বিজ্ঞান ও প্রায়োগিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সার্টিফিকেট-সর্বস্ব ও নোট মুখস্ত করার শিক্ষা নয়, বিশ্লেষণধর্মী ও প্রায়োগিক শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। সমাবর্তনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, এমপি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুব-উল আলম, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

একটি জাতি গঠনের প্রথম ধাপ হিসেবে গবেষণা কার্যক্রমসহ মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি (মানসম্মত শিক্ষা) শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, বুদ্ধিবৃত্তিক বৃদ্ধি, অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ এবং সর্বোপরি গভীর দেশপ্রেম জাগরণের প্রধান মাধ্যম। 

বর্তমানে চাহিদা ভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বিদ্যমান শ্রমবাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করার তাগিদ দেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বিইউপি কর্তৃপক্ষকে গবেষণা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য শিক্ষকদের শিক্ষাদানে আন্তরিকতার সাথে আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে-আনন্দ ছাড়া শিক্ষা কোনো সুফল বয়ে আনতে পারে না।

তিনি বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ভাবিত নতুন ধারণা এবং কৌশলগুলোকে আয়ত্ত্ব করে আমাদের নিজেদেরকে আপ-টু-ডেট রাখতে হবে। মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানে বিইউপি কর্তৃপক্ষের নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করে চ্যান্সেলর বলেন, বিইউপি ভর্তি পরীক্ষা, অন্যান্য পরীক্ষা এবং এর ফলাফল প্রক্রিয়া 'ইউনিভার্সিটি কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধ্যমে করা হচ্ছে।

যুগের চাহিদা অনুযায়ী বিইউপি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রদানে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ডিগ্রি অর্জনের জন্য স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষা কেবল ডিগ্রি অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, একজন স্নাতকের আসল সাফল্য নির্ভর করে কীভাবে একজন শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত, সামগ্রিক এবং পেশাগত জীবনে এর সুবিধা নিতে পারে তার ওপর।

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দেশকে বৈশ্বিক মন্দা থেকে বাঁচাতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে হবে। এলক্ষ্যে রপ্তানি এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি স্নাতকদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য প্রস্তুত হওয়ার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পরামর্শ দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আজকের স্নাতকরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী, ধনী ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।

২০০৮ সালে ৩১তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিমধ্যে ২৯, ৮৯২ স্নাতক সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। ষষ্ঠ সমাবর্তনে, ৩৬ স্নাতক ডিগ্রিধারীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং আরো ২৯ জনকে ভাইস-চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




শরণার্থী প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ালো গ্রিস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৪৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়ায় বাস্তুচ্যুত লোকজনের অনুপ্রবেশ রোধে তুরস্কের সঙ্গে থাকা স্থল ও সমুদ্র সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে গ্রিস। এসব এলাকায় গ্রিক সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শত শত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।  গার্ডিয়ান

৬ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা না পেলে বসন্তের শুরুতে ঘরহারা মানুষ ইউরোপের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে। গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী নোটিস মিতারাচি বলেন, লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না। ভূমিকম্পের পরপরই আমরা তুরস্ক ও সিরিয়ায় জরুরি সহায়তা পাঠিয়েছি, কিন্তু এ মুহূর্তে অতিরিক্ত শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই। তুরস্ক সীমান্তে গ্রিসের ৩৫ কিলোমিটার লম্বা একটি প্রাচীর রয়েছে। দেশটি এখন এ সীমান্ত প্রাচীর আরো প্রসারিত করতে চায়। গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী বলেন, অর্থায়ন সরকার দিক কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছ থেকে আসুক না কেন গ্রিস, যে কোনো উপায়ে এ প্রাচীর সম্প্রসারণ করবে।

২০ ফেব্রুয়ারি গ্রিসের নাগরিক সুরক্ষামন্ত্রী টাকিস থিওডোরিকাকোস বলেছিলেন, সীমান্ত প্রাচীর সম্প্রসারণের জন্য প্রায় ১০ কোটি ইউরো খরচ করা হবে। এ অর্থায়ন গ্রিসের বাজেট থেকেই আসার কথা। থিওডোরিকাকোস আরো জানান, ১০ মাসের মধ্যে প্রাচীরটি সম্প্রসারণ হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরে এথেন্স সীমান্তবর্তী এভ্রোস (তুর্কি ভাষায় মেরিক) নদীর অগভীর অংশে ৩৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও প্রায় ৫ মিটার উঁচু ইস্পাতের প্রাচীর দিয়েছে। এভ্রোস পেরিয়েই অভিবাসীরা তুরস্ক থেকে গ্রিসে আসে। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করে। এ যাতায়াত বন্ধ করতেই গ্রিস সরকার সীমান্তে দীর্ঘ প্রাচীর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলা হচ্ছে, অভিবাসন নীতিতে গ্রিসের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস বামপন্থি পূর্বসূরি অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের চেয়েও বেশি কঠোর। বিষয়টি বিশ্বজুড়ে বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। তবে এসব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে মিতসোতাকিস বলেন, আমাদের অভিবাসন নীতিগুলোকে কঠোর কিন্তু ন্যায্য। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রিক সীমান্তরক্ষীরা গত বছর প্রায় ২ লাখ ৫৬ হাজার অভিবাসীকে এ সীমান্ত পার হতে বাধা দিয়েছে। একই সময়ে, ১ হাজার ৩০০ জন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, এথেন্স বেআইনিভাবে অভিবাসীদের তুরস্কে ফেরত পাঠাচ্ছে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩