পিরোজপুরে নৌকার নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আহত লালন ফকির মারা গেছে। নিহত লালন ফকির স্বেচ্ছাসেবক দলের পিরোজপুর জেলা শাখার শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ছিলো।
গত শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রানীপুর এলাকায় নৌকার নির্বাচনী অফিসে হামলার সময় আহত হন লালন ফকির।
ওইদিন প্রথমে তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, লালন ফকির বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হলেও সে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনের বিদ্রোহী প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের ক্যাডার ছিলো।
২০১৪ সালে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি নামে পিরোজপুরে বিএনপি’র ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় লালন ফকিরের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিলো।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারসহ পিরোজপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজীর ভাইদের ওপর হামলা ও কোপানোর অভিযোগ রয়েছে।
এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় দায়ের হওয়া নিম্নল্লোখিত মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
১। মামলা নং-০৮, তাং ০৯ জানুয়ারি ২০১৫ইং, ধারা-দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫।
২। মামলা নং-০৫, তাং-০৬ জানুয়ারি ২০১৫ইং, ধারা-৩৮৬/১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড।
৩। মামলা নং-১৩, তাং-১৮ জুলাই ২০২৩ইং, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩০৭/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/১৮৯/৪২৭ পেনাল কোডে।
৪। মামলা নং-২৮, তাং-২৫ জুন ২০২৩ইং, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩৩২/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড।
৫। মামলা নং ০৪, তাং-৬ এপ্রিল ২০২২ ইং, ধারা-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১)/ ১০ (ক)/৪১।
৬। মামলা নং-০২, তাং-০২ মার্চ ২০১৯ ইং, ধারা- ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩৭৯/৩৮০/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড।
৭। মামলা নং-০৫, তাং-০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ইং, ধারা-১৪৭/৩৪১/৩০৭/৩২৩/৩২৫/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড।
এদিকে লালন ফকিরের মৃত্যুর খবরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পিরোজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন শিকদার ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি পৌর কাউন্সিলর সাইদুল্লাহ লিটনের নেতৃত্বে শহরে মিছিল বের করে আউয়াল সমর্থকরা। মিছিল থেকে তারা আগামীকাল মঙ্গলবার শহরে হরতাল ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশিকুজ্জাআন বলেন, এখনও থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।