Logo
শিরোনাম

পঞ্চগড়ে ছড়িয়েছে চিকেন পক্সের প্রাদুর্ভাব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৩৫জন দেখেছেন
Image

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে চিকেন পক্সের প্রাদুর্ভাব। আর এতে শিশু, কিশোর থেকে বৃদ্ধা আক্রান্ত হচ্ছে সবাই। তবে সব থেকে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও কিশোররা। এতে করে অতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষদের মাঝে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের চেয়ে এই ভাইরাসের প্রকোপ সব থেকে বেশী দেখা মিলছে গ্রাম-গঞ্জে। জানা গেছে চিকেন পক্সে আক্রান্তের পর গ্রামের অধিকাংশ সাধারণ পরিবার গ্রাম্য কবিরাজ বা আদি চিকিৎসায় ঝুকছেন। অন্যদিকে কবিরাজি বা গ্রাম্য আদি চিকিৎসা গ্রহণ না করে আক্রান্তের সাথে সাথে দ্রুত চিকিৎসকের সরণাপন্ন্য হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

দীর্ঘ দুইবছরের অধীক সময় ধরে করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে ঘড় বন্দি মানুষ যখন কর্ম ক্ষেত্রে বের হয়েছেন ঠিক এই সময়ে পঞ্চগড়ে হঠাৎ করে চিকেন পক্সে স্থানীয়রা আক্রান্ত হচ্ছে।

বিভিন্ন গ্রামে দেখা গেছে আক্রান্ত শিশু কিশোরদের শরীরে দেশী নিমের পাতা ও কাচা হলুদ বেটে সমস্থ্য শরীরে মেখে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছে। কেউ আবার নিম পাতা গরম জলে গোসল করছে। অনেকেই আবার ডাপের পানি আক্রান্ত স্থানে মেখে, কেউ পানি পান করছে।

জানা গেছে, চিকেন পক্সের প্রাদুর্ভাব গ্রাম অঞ্চলে সব থেকে বেশী দেখা মিলছে। অনেকের কাছে আদি নিয়মটি সঠিক মনে হওয়ায় চিকেন পক্সে আক্রান্ত গ্রামের অধিকাংশ সাধারণ পরিবার গ্রাম্য আদি চিকিৎসায় ও কবিরাজের কাছে ঝুকছেন।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আব্বাস আলী বলেন, আদিকালের নিয়ম পক্স হলে ডাবের পানি পান করা, শরীরের ক্ষত স্থানে নিমের পাতা বেটে লাগানো। আবার আমরা কবিরাজেরও চিকিৎসা মাঝে মধ্যে নিচ্ছি। তবে অনেকের একটু বেশী সময় লাগায় তারা আতঙ্কে থাকেন।

ভেলুপাড়া গ্রামের তাহের ইসলাম বলেন, এখন আধুনিক সময়ে এ রোগের নাকি ঔষুধ বের হয়েছে শুনছি। ডাবের পানি পান করা ও নিমের পাতা শরীরে লাগানোর পাশাপাশি আমরা এখন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি।

আব্দুল হাই নামে আরেকজন জানান, আমাদের গ্রামে পক্স সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে আমাদের মত সাধারণ মানুষ এতে আতঙ্কে রয়েছে।

এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন বর্তমান সময়ে ঝার ফুক ও কবিরাজি চিকিৎসার যেমন ভিত্তি নেই, তেমনি চিকেন পক্স নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। সবাইকে সু-চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতাল মুখি হওয়ার আহবান জানান তারা। এর মধ্যে যারা হাসপাতালে সু-চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকেই এখন রয়েছেন সংখ্যামুক্ত। এছাড়া অনেক পরিবার আদি ও কবিরাজি চিকিৎসার পাশাপাশী গ্রামের পল্লি চিকিৎসকদের সরণাপন্ন্য হচ্ছেন।

ভজনপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাঃ মোঃ আবুল বাসার বলেন, চিকেন পক্স একটি ছোঁয়াচে রোগ। তবে এটি ছোঁয়াচে হলেও করোনা বা অন্যান্য রোগের মত ভয়ানক নয়। একটু বিশ্রাম ও ডাক্তারের দেয়া ঔষুধ সময় মত খেলেই সেরে যায়। এটি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। তবে আমরা দেখেছি গ্রাম-অঞ্চলে এ রোগটির প্রকোপ একটু বেশী। রোগীরা আমাদের কাছে আসলে আমরা এই রোগের ঔষুধসহ পরামর্শ দিচ্ছি।

পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডাক্তার রফিকুল হাসান বলেন, চিকেন পক্স আমাদের একটি পুরনো রোগ। এটি শরীরের এক অংশে হলে ছোঁয়াচে হওয়ায় অন্যখানে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। এটি একটা সময় আমাদের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাতেই ভালো হয়ে যায়। তবে বিশেষ কোন ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে এই রোগটি কিছুটা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে আক্রান্ত হলে আদি চিকিৎসা, ঝাড়-ফুক বা কবিরাজের কাছে যাওয়া না গিয়ে ডাক্তারের সরণাপন্ন হবেন।

উল্লেখ্য, চিকেন পক্সের প্রকোপ জেলা শহরসহ তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, পঞ্চগড়ে চিকেন পক্সে আক্রান্ত হলে অনেকেই জন সমুক্ষে আসেনা। আক্রান্তরা কেউ কাউকে জানতে দেয় না। যত পারে গোপনে বা নিরবে চিকিৎসা করাচ্ছেন। কথিত আছে পঞ্চগড়ে চিকেন পক্সকে বসন্ত বলে চিনে। আর এই বসন্তকে মহামারি ছোঁয়াচে হিসেবে আক্ষায়িত করায়। আক্রান্তের বাড়িতে কাউকে আসা যাওয়া করতে দেয়া হতোনা। তবে কিছু কিছু এলাকায় এ রোগে আক্রান্ত হলে তাদের এক ঘড়ে করে রাখার প্রচলন চলমান রয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর