রাজধানীর উত্তরায়
প্রাইভেটকারের ওপর নির্মাণাধীন বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে একই পরিবারের
৫ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘাতক ক্রেন চালক ও সহকারীসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড
অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাটে
একযোগে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল
অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, রাজধানীর উত্তরায়
প্রাইভেটকারের ওপর ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে একই পরিবারের ৫ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় ৯
জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারদের মধ্যে
ঘাতক ক্রেন চালক ও সহকারী এবং নিরাপত্তায় নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী
রয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
সোমবার (১৫ আগস্ট)
বিকেলে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)
প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে একই পরিবারের ৫ জন নিহত হন। তারা
একটি বৌভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন।
গাড়িটিতে মোট
সাতজন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন-
রুবেল মিয়া (৫০), ঝর্ণা (২৮), ফাহিমা (৩৭), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। গাড়িতে থাকা
হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামে নবদম্পতি বেঁচে যান।
নিহত ফাহিমা হলেন
নববধূ রিয়া মনির মা। আর ঝর্ণা হলেন তার খালা। রুবেল সম্পর্কে ফাহিমা-ঝর্ণার বেয়াই।
জান্নাত ও জাকারিয়া ঝর্ণার সন্তান। ফাহিমা-ঝর্ণাদের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুরে। আর
রুবেলের বাড়ি মেহেরপুরে।
ঘটনার দিন রাতেই
নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণার ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায়
একটি মামলা (নম্বর-৪২) দায়ের করেন। মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক,
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আনা হয়েছে।