Logo
শিরোনাম

প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন।

‌‌মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের এগ্রো বিজনেস প্ল্যানিং, টেকনোলজিস অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যাডভাইস অ্যান্ড ইমপ্লিমেনটেশন সাপোর্ট বিষয়ক ইনসেপশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, "দেশের অভ্যন্তরণে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদিত সামগ্রী যাতে বিদেশে রপ্তানি করা যায় সেজন্য আমরা বিশ্বের উল্লেখযোগ্য দেশসমূহে বাজার সৃষ্টির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেশ কয়েকটি দেশ আমাদের দেশ থেকে মাছ-মাংস আমদানির ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রাণিজাত খাদ্য উৎপাদনের সাথে যারা জড়িত আছেন তাদের নিশ্চিত করতে চাই যে, বিশ্ববাজারে আপনাদের উৎপাদিত সামগ্রী ছড়িয়ে দিতে সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে"।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, "করোনাকালে খামারিদের উৎপাদিত সামগ্রী যাতে মুখ থুবড়ে না পড়ে সেজন্য দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থার মাধ্যমে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির ব্যবস্থা  করেছি। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত মাছের বা প্রাণীর খাবার বিমানবন্দর, নদীবন্দর বা সমুদ্রবন্দরে যাতে আটকে না থাকে সেজন্য আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্য সামগ্রীর পরিবহন স্বাভাবিক রেখেছি। লক্ষ্য ছিল উৎপাদনকারীরা যাতে বিপদে না পড়ে এবং উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করতে পারে"।

মন্ত্রী আরো বলেন, "প্রাণিসম্পদ খাতে শুধু উৎপাদন বৃদ্ধিই নয় বরং উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। বহুমুখীকরণ করতে না পারলে এ খাতকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। দুধ ও মাংস থেকে বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী উপকরণ তৈরির সুযোগ রয়েছে। এ খাতে সম্পৃক্তরা এর বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে হবে, মাংস জাতীয় পণ্য তৈরির দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করতে হবে। মাংস থেকে চিপস তৈরি হতে পারে, বিস্কুট তৈরি হতে পারে। শুধু মাংস বিক্রির মাধ্যমে এ খাতকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। এজন্য বহুমুখীকরণ ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে"।

তিনি আরো বলেন, "দুধ উৎপাদন ও বিপণন সমস্যা সমাধানে প্রকল্পের আওতায় সরকার কুলিং সেন্টার করে দিচ্ছে, খামারিদের মিল্ক সেপারেটর মেশিন সরবরাহ করছে, উৎপাদিত দুধ সরবরাহের জন্য খামারিদের গ্রোথ সেন্টারের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্তদের সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকার ব্যাপক আকারে পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ও বিস্তারে শুধু কাজ করলেই হবেনা, এর গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এ খাতে গুণগত মানসম্পন্ন সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করতে হবে। উৎপাদিত মাংস যেন মানবদেহের জন্য উপযোগী হয়, মাংস থেকে অন্যান্য পণ্য উৎপাদন করলে সেটা যেন মানসম্পন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও আন্তর্জাতিক মানের হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে যে খাবার ব্যবহৃত হবে সেটাও মানসম্পন্ন হতে হবে, মাননিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারে পরীক্ষাকৃত হতে হবে"।

বিদেশ থেকে কেন সব সময় মাছের খাদ্য ও পশুখাদ্য আমদানি করতে হবে, সংশ্লিষ্টদের এ প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, "মাছের ও পশুর খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে কর অব্যাহতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে সরকার। দেশে মাছ ও প্রাণী খাদ্য তৈরির খাত তৈরি করতে হবে"।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, "বিদেশ থেকে যাতে মাংস আমদানি না হয় সেক্ষেত্রে আমরা কৌশলগত নীতি নির্ধারণ করেছি। কারণ আমাদের দেশে পর্যাপ্ত গবাদিপশু রয়েছে। দেশেই পর্যাপ্ত মাংস উৎপাদন হচ্ছে। কেন বিদেশ থেকে আমরা মাংস আনবো? পর্যায়ক্রমে সেগুলো বন্ধের দিকে আমরা যাচ্ছি। সরকার এ ব্যাপারে সক্রিয় রয়েছে। তবে সব সময় শুধু সরকারের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। সরকার বেসরকারি খাতকে উদ্বুদ্ধ করছে, উৎসাহিত করছে, সহযোগিতা দিচ্ছে। এ খাত সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা আমরা চাই"।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। কর্মশালায় প্রকল্প কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী। ইনসেপশন রিপোর্ট উপস্থাপন করেন কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মানব চক্রবর্তী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও এস এম ফেরদৌস আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী-গবেষক, উদ্যোক্তা ও খামারিগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর