Logo
শিরোনাম

প্রচণ্ড খরায় এবার অটো শিমের ফলন কম

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পাবনার ঈশ্বরদীতে অটো শিম বা মৌসুম ছাড়া শিম চাষিরা ক্ষেতের শিম সংগ্রহ শুরু করেছেন। দুই একদিন পরপর এক বিঘা ক্ষেত থেকে চার থেকে পাঁচ কেজি করে শিম সংগ্রহ করা যাচ্ছে। পাইকাররা ক্ষেতে এসে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ কেজি দরে শিম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেক চাষি কাঁচামালের আড়ত ও হাট-বাজারে বিক্রি করছেন।

সরেজমিনে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের সরইকান্দি, বাঘহাছলা, পতিরাজপুর গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, শত শত হেক্টর জমিতে মৌসুম ছাড়া (আগাম) জাতের অটো শিমের আবাদ হয়েছে। জ্যৈষ্ঠের প্রথম সপ্তাহে অটো শিমের চাষাবাদ শুরু হয়। প্রায় তিন মাস পর শিম সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

চাষিরা জানান, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে প্রত্যাশিত বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচণ্ড খরায় এবার অটো শিমের আবাদ তুলনামূলক খারাপ হয়েছে। খরায় ক্ষেতের অসংখ্য শিম গাছ মরে গেছে। মরা গাছ তুলে পুনরায় লাগাতে গিয়ে চাষিদের বাড়তি খরচ হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় ফলনও কম। সময়মতো বৃষ্টিপাত হলে এতোদিন অটো শিমে বাজার ভরপুর থাকতো।

সরইকান্দি গ্রামের চাষি শরিফ উদ্দিন জানান, আগাম জাতের শিম আবাদ করে এ অঞ্চলের কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। প্রায় ১০ বছর মুলাডুলি ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামে আগাম জাতের শিম চাষ হয়। শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত শিম এখানে শ্রাবণ মাসে ফলন শুরু হয়। ফলে আগাম শিম বিক্রি করে কৃষকরা বেশ লাভবান হয়। এবার বৃষ্টিপাতের অভাবে ফলন কম হয়েছে। জমি থেকে তিন থেকে পাঁচ কেজি করে শিম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এসব শিম পাইকাররা ক্ষেতে এসে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। হাট-বাজারে নিয়ে গেলে আরেকটু বেশি দামে বিক্রি করা যায়।

বাঘহাছলা গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, চাষিরা শিম তুলতে শুরু করেছে। কিন্তু ক্ষেতে এখন যে পরিমাণ হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না। অন্যান্য বছর এসময় ক্ষেত শিমে ভরপুর থাকে। এখন বিঘা প্রতি মাত্র চার পাঁচ কেজি শিম সংগ্রহ করা হয়ে। আষাঢ় মাসের শুরুতেই প্রচণ্ড খরায় শিম ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেজন্যই শিমের ফলন ভালো হয়নি। আশা করা যায় আগামী মাসের শুরুতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আগাম শিম চাষিরা বাজারে তুলতে পারবে।

শিমের পাইকারি ক্রেতা আব্দুল জলিল জানান, হাট-বাজারে এ শিম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে। ক্ষেতে এসে সরাসরি শিম কিনে গ্রামের হাট-বাজারের সবজি বিক্রেতাদের নিকট আমরা বিক্রি করি। ঈশ্বরদীর দৈনিক পৌর সবজি বাজারের ব্যবসায়ী মহন হোসেন জানান, একজন কৃষকের নিকট থেকে পাঁচ কেজি শিম কিনে এনেছি। ১৬০ টাকা কেজি দরে কিনে বিক্রি করছি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। অন্য সবজির তুলনায় দাম বেশি হলেও বাজারের নতুন সবজি হিসেবে ক্রেতারা শিম কিনছেন।

মুলাডুলি কাঁচামাল আড়তের ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান বাবু দেওয়ান জানান, কৃষকরা আড়তে দুই চার কেজি করে শিম আনতে শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে সারাদিনে তিন থেকে চার মণ শিম হতে পারে। আগাম শিমের মৌসুম শুরু হলেও বাজারে শিমের বেচাকেনা নাই বললেই চলে। মুলাডুলি কাঁচামাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, মুলাডুলি আড়তে অন্যান্যবার এসময়ে আগাম শিমে ভরপুর থাকে। এবার প্রচণ্ড খরায় শিমের ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষিরা দুই-চার কেজি করে শিম এনে আড়তদারদের কাছে বিক্রি করছেন। কেজি প্রতি দাম পাচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। এসব শিম আড়তের অন্যান্য সবজির সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে চলে যাচ্ছে। রাজধানীতে এ শিম বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার জানান, এ উপজেলায় ১৩০০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়। প্রতিবছরই আগাম শিমের আবাদ করে এখানকার কৃষকরা লাভবান হয়। এবার প্রচণ্ড খরার কারণে শিমের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আগাম শিম বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এবারও কৃষক লাভবান হবে বলে আশা করছি।

নিউজ ট্যাগ: অটো শিম

আরও খবর

শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জয়পুরহাটে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর