প্রধানমন্ত্রীর
প্রণোদনা প্রদানে যাতে স্বজনপ্রীতি না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ক্ষেত্রে
কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের
বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্রদানে যেন স্বজনপ্রীতি না হয় এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের
হাতে পৌঁছায় সেদিকে কঠোরভাবে সতর্ক থাকতে হবে
৷
বুধবার (১৪ জুলাই)
সকালে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের সহায়তা, গ্রামীণ কর্ম-সৃজন,পর্যটনখাত
এবং পরিবহন শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ৩২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা
দিয়েছেন ৷ সত্যিকার অর্থে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে তালিকাভুক্ত হয় সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ
দিতে হবে।
ঈদযাত্রায় মানুষের
ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা এবং ঈদকে ঘিরে অর্থনীতির
প্রবাহ গতিশীল রাখতে সরকার লকডাউন শিথিল করার এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের
বলেন, মনে রাখতে হবে সাময়িক এ বিধিনিষেধ শিথিলের সুযোগ নিয়ে আমরা যেন গড্ডালিকা প্রবাহে
গা না ভাসাই। এ পরিস্থিতিতে নিজেই হতে হবে নিজের রক্ষক। নিজেদের উদাসীনতা এবং অপরিনামদর্শিতায়
উৎসবের যাত্রা যেন জীবনের শেষ যাত্রায় রূপ না নেয়।
তিনি বলেন, ঈদকে
সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনে ব্রেক দিলেও করোনা কাউকে ব্রেক দেবে না, প্রাণঘাতী
রূপ নিয়ে সংক্রমণ ছড়াবেই ৷ তাই শতভাগ মাস্ক পরিধানের কোন বিকল্প নেই।