প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের সময় দেশটির সঙ্গে সাতটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক
সই হবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। আজ রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর)
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ড. মোমেন এসব কথা বলেন। ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর
৪ দিনের জন্য ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর
এ সফরের বিস্তারিত তুলে ধরতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ
সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জানান, দুই দেশের মধ্যে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ
ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনযোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, নদীর অববাহিকাভিত্তিক
পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত সুরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার
রোধ প্রভৃতি অধিক গুরুত্ব পাবে। বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক পানি ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,
রেলওয়ে, আইন, তথ্য ও সম্প্রচার, প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত।
প্রধানমন্ত্রীর
এ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ
প্রতিনিধিদলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, রেলপথমন্ত্রী,
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ
উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য
ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে এ সফরে যোগদান করবেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের
মধ্যকার সুসম্পর্ক বর্তমানে বিশেষ উচ্চতায় অবস্থান করছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন,
বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশি দেশ ভারতের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে স্থলসীমানা ও সমুদ্রসীমানা
নির্ধারণ সারা বিশ্বের সামনে সহযোগিতার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পাশাপাশি
দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় যেমন নিরাপত্তা ইস্যু, আন্তঃসংযোগ, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা,
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জনযোগাযোগ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক, আন্তঃদেশীয় বাস চলাচল,
রেল ও নৌপথে যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ
ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক গভীরতর হওয়াসহ সার্বিকভাবে এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে
নিয়ে যাবার লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্যোগ গৃহীত হবে।