এতোদিন আড়ালে
থাকা নায়িকা পরীমণি, কথিত মডেল পিয়াসা ও মৌদের কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো প্রকাশ হওয়ার পর,
সংশ্লিষ্টে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম প্রকাশ হচ্ছে।
যে কারণে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এমন তথ্য ছড়ানো অনেকের সম্মানহানি ও বিভ্রান্তি
সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট ঘটনার তন্তকারীরা।
পরীমণি-পিয়াসাকেন্দ্রিক
মামলাগুলোর তদন্তে সিআইডি’র প্রধান কার্যালয়ে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেককে ডাকা হচ্ছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের ডাকা হচ্ছে, তাদের
কোনো তালিকা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে স্পষ্ট
জানিয়ে দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
নায়িকা, মডেল
ও তাদের সহযোগীদের বাসায় অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৬টি দামি গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশের
অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর মধ্যে রয়েছে পরীমণির গাড়ি টয়োটা হেরিয়ার, পিয়াসার ফেরারি
ও বিএমডব্লিউ, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের ২টি হেরিয়ার এবং শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসানের
ফেরারি গাড়ি। জব্দ এসব গাড়ির প্রকৃত মালিক কারা- বিআরটিএর মাধ্যমে সেটি যাচাই করে দেখছে
সিআইডি।
জব্দ করা ইলেকট্রনিকস
যন্ত্রপাতি ফরেনসিক ল্যাবে:
এদিকে পরীমণি,
পিয়াসা, মৌ, হেলেনা জাহাঙ্গীর, নজরুল ইসলাম রাজসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে ৮টি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। পরীমণিসহ অন্য ৬ জনের বাসা থেকে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ,
মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য
রাসায়নিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আর আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা হলেও অন্য অভিযোগও
খতিয়ে দেখছে সিআইডি।
যে কারণে ডাক
পড়ছে সিআইডিতে:
সিআইডি প্রধান
ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা মামলাগুলোর
তদন্তের স্বার্থে কথা বলতে অনেককেই ডেকেছি। সামনে হয়তো আরও অনেককে ডাকব। তবে এখনই কাউকে
অভিযুক্ত বা দোষী করার সুযোগ নেই। পরীমণি-পিয়াসা সবার বিরুদ্ধে মাদক মামলার বাইরেও
‘ব্ল্যাকমেইলিং’ ও ‘প্রতারণার’ অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেগুলোর সত্যতা জানতে
অনেককেই ডাকছি। কাউকে ডাকা হচ্ছে অভিযোগের ভিত্তিতে, আবার কাউকে ডাকা হচ্ছে সাক্ষী
হিসেবে।
বিআরটিএ থেকে
৬টি দামি গাড়ির কাগজ যাচাই চলছে:
পরীমণি-রাজকে
নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘আরও প্রশ্নের
উত্তর জানতে কয়েকজন আসামিকে ফের রিমান্ডে নিয়েছি। মামলাগুলোর দায়িত্ব পাওয়ার পর সিআইডি
তাদের বাসায় আবারও তল্লাশি করে ৩টি জিপ, ১টি ফেরারি কার, ১টি বিএমডব্লিউ, ১টি মাজদাসহ
৬টি গাড়ি জব্দ করেছে। গাড়িগুলো কার নামে রয়েছে, কে ব্যবহার করত- তা জানতে বিআরটিএ থেকে
কাগজ যাচাই করছি। যথাযথভাবে আমদানি করা হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে।