চিত্রনায়িকা পরী
মণিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। আজ রবিবার
সকালে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন করেন।
রিটে বলা হয়,
আসামিকে আদালতে হাজির করার ক্ষেত্রে ও রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয় ঠিক করে সুপ্রিম
কোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে, সে অনুযায়ী পরী মণিকে মাদকের একটি মামলায় বারবার রিমান্ডে
নেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানা হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে রিট করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার
রাজধানীর বনানী থানায় করা মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরী মণির নিম্ন আদালতে
জামিন আবেদন অবিলম্বে শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি
করেছিল হাইকোর্ট। এ ছাড়া আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালত জামিন শুনানির যে দিন নির্ধারণ
করেছিলেন, তা কেন বাতিল করা হবে না মর্মে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা
জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার
এ আদেশ দেন।
পরী মণির আইনজীবী
মজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আগামী ১ সেপ্টেম্বর
হাইকোর্টের দেওয়া রুলের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত এবং ঢাকা মহানগর দায়রা
জজ কে এম ইমরুল কায়েশকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।এর আগে গতকাল বুধবার জামিন শুনানির
জন্য নিম্ন আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর যে দিন ধার্য করেছিলেন, তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে
আবেদন করেন পরী মণি।
আদালতে পরীমণির
পক্ষে আছেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে
আছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু এহিয়া দুলাল
এর আগে গতকাল
বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করায় আবেদনে আদালতের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক
দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমণি। আবেদনে পরীমণির জামিনের আর্জিও জানানো হয়।
গত ২২ আগস্ট ঢাকা
মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরী মণির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর
রহমান। পরে আদালত জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ২১ আগস্ট রাজধানীর
বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরী মণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন
আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।