Logo
শিরোনাম

প্রেগন্যান্ট অবস্থায় জার্নি নিরাপদ করার টিপস

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৩২৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ঈদ, পুজার ছুটিতে, কিংবা পারিবারিক কোন প্রয়োজনে বা গর্ভকালীন শেষ সময়টায় পরিবারের কাছে থাকার জন্য অনেক সময় একজন গর্ভবতী নারীকে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ভ্রমণ যতই আনন্দদায়ক হোক না কেন একজন গর্ভবতী মহিলার পক্ষে তা শারীরিক ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ফলে এ সময়ে ভ্রমণের ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। জেনে নিন এই সময় ভ্রমণের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখার মতো কিছু বিষয়।

চিকিৎসকের মতামত নেওয়া: ভ্রমণে কোথাও যাবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বেই চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া উচিত। তাঁর কথা ও পরামর্শ মতো চললে একজন গর্ভবতী নারী নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারবেন ও ডাক্তারের কথামতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সহজ হয়। ডাক্তার পরামর্শ না দিলে ঝুঁকি নিয়ে ভবিষ্যৎ সন্তানের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা একদমই উচিত হবে না।

চেক আপ সেরে নেওয়া: ভ্রমণে যাওয়ার আগেই একজন গর্ভবতী নারীকে তাঁর নিয়মিত চেকআপ,আল্ট্রাসনোগ্রাম, গ্লুকোজ স্ক্রিনিং টেস্ট সব কিছু সেরে ফেলা উচিত। চেকআপের রেজাল্ট দেখে চিকিৎসকেরা যে পরামর্শ দিবেন তার ব্যবস্থা নিয়ে তবেই ভ্রমনে যাওয়া উচিত।

সঙ্গে রাখুন হেলথ রিপোর্ট: একজন গর্ভবতী নারীকে নিজের সর্বশেষ স্বাস্থ্যের অবস্থা ও সব ধরণের চেকআপের রিপোর্ট, প্রেসক্রিপশন ভ্রমনকালীন সময়েও সাথে নিয়ে রাখা উচিত। প্রয়োজনের সময় এগুলো কাজে লাগতে পারে। তাছাড়া কোন কারনে ইমার্জেন্সিতে হাসপাতালে নিতে হলে মেডিকেল কাগজপত্র থাকলে চিকিৎসায় সুবিধা হবে। তাই সবসময় এসব প্রয়োজনীয় হেলথ রিপোর্ট হাতের কাছে রাখার ব্যাপারে ভুলে যাবেন না।

প্রয়োজনীয় এবং অতিরিক্ত ঔষধ  সঙ্গে রাখা: ভ্রমনকালীন সময়ে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র লাগেজের সাথে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো হয় যতদিন বাইরে থাকবেন সে হিসাব করে তার অতিরিক্ত ঔষুধ সঙ্গে রাখা। তাছাড়া অনেকের ভ্রমণে বমি হয়। গর্ভাবস্থায় বমি হওয়াটা স্বাভাবিক।আবার অনেকের মাইগ্রেন এবং রাস্তার ধূলাবালিতে সমস্যা থাকে।গর্ভাবস্থায় সব ধরনের ঔষধ সেবন করা যায় না।তাই ডাক্তারকে নিজের সমস্যার কথা বলে প্রয়োজন মত ঔষধ সাথে রাখাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।

লাগেজের ব্যাপারে সতর্ক থাকা: গর্ভাবস্থায় ভারী লাগেজ বহন করা একদমই উচিত নয়।ভ্রমণের সময়  লাগেজ গোছানোর ব্যপারে সতর্ক থাকা উচিত। লাগজে যতটুকু সম্ভব হালকা রাখা উচিত। ভ্রমণের ব্যাপারে আপনার পার্টনার বা কোন সহৃদয় ব্যক্তির সহায়তা নিন যাতে লাগেজ বহনের ক্ষেত্রে আপনার শরীরে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।

পোশাক পরিধানের ব্যপারে সতর্কতা: গর্ভাবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে। ফলে গর্ভবতী নারীর একটু বেশি গরম অনুভূত হতে পারে।তাই ভ্রমনের সময় আরামদায়ক কাপড় পরিধান করা এবং আরামদায়ক জুতা পরা উচিত। গর্ভাবস্থায় সবসময় একটু ঢিলাঢালা হালকা পোশাক শরীরের জন্য ভালো। ভ্রমনে তাই পছন্দ মত ঢিলাঢারা পোষাক বেছে নিন।

ভ্রমণে খাবারের ব্যাপারে  লক্ষ্য রাখা: গর্ভাবস্থায় বাইরের খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বাইরের খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা গর্ভাবস্থায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভ্রমণের সময় বাসা থেকেই শুকনো খাবার বা স্ন্যাক্সজাতীয় খাবার নিয়ে আসা উচিত।তার সঙ্গে রাখা উচিত খাবার উপযোগী বিশুদ্ধ পানি।

সাথে রাখুন একজনকে: ভ্রমণে স্বামী কিংবা পরিচিত অন্য কেই সঙ্গে থাকা উচিত।এতে তিনি যেমন স্বস্তি পাবেন তেমনি নির্ভরযোগ্য মানুষ সাথে থাকাতে ভ্রমনকালীন সময়টা বেশ উপভোগ করতে পারবেন।

ভ্রমণকালীন বিরুতিতে হাঁটা চলার মাধ্যমে স্বাভাবিক থাকা: জার্নির সময় অনেকসময় ধরে ধরে বসে থাকার কারনে পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ধরে। ফলে অনেকসময় পায়ে অসাড়তা আসে।ফলে গর্ভাবস্থায় অনেকক্ষণ একস্থানে বসে থাকায় পায়ে পানি এসে পা ফুলে যেতে পারে। এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ একস্থানে বসে থাকলে রক্তচলাচল কমে যায়। তাই সম্ভব হলে যাত্রা বিরতিতে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করে নিন। এতে রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

নিজস্ব ট্রান্সপোর্টে ভ্রমণের সময়: গর্ভবতী নারীর জন্য নিজস্ব ট্রান্সপোর্টে ভ্রমণ বেশ সুবিধাজনক। ড্রাইভার যাতে গাড়ি ধীরে চালায় সে ব্যাপারে আগে থেকে নির্দেশ দেয়া উচিত।  কারণ ভাঙা রাস্তায় জোড়ে গাড়ি চালালে গর্ভবতী নারীর সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে পেট এবং বাচ্চার উপর চাপ পরে ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার সুবিধা হল যে কোন সময় রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। নিজস্ব ট্রান্সপোর্টে ভ্রমণের সময় যেসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে: গাড়ির সিট বেল্ট বাঁধা। সিট বেল্ট বাঁধার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে তা যেন সবসময় পেটের নীচে থাকে। বেক পেইন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সিটের মধ্যে ছোট বালিশ বা কুশন জাতীয় কিছু রাখুন। কিছুক্ষণ পর পর পা উপর-নীচ করে পায়ের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। গরমের দিনে বমি ভাব এড়াতে বেশি করে পানি বা তরল জাতীয় খাবার খান।

বিমানে ভ্রমণ: গর্ভাবস্থায় বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। সাধারণত যাদের নির্দিষ্ট সময়ের আগে গর্ভপাত হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে কিংবা শারীরিক সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে বিমান ভ্রমণ নিরুত্সাহিত করেন চিকিৎসকরা। বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত:

বিমান ভ্রমণের আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আপনার গর্ভাবস্থার কথা জানিয়ে দেওয়া উচিত। তাহলে ভ্রমণকালে আপনার প্রতি আলাদা খেয়াল রাখবেন বিমান ক্রুরা। গর্ভবতী নারীদের বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান সংস্থাগুলোর নিজস্ব নিয়মাবলি আছে, সেগুলো আগে থেকেই জেনে রাখা ভালো। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে বিমান সংস্থাকে আগে থেকে জানিয়ে পছন্দমত সীট নির্বাচন করুন যাতে পা প্রসারিত করতে পারেন। সবসময় পেটের নীচে সীটবেল্ট বেঁধে রাখবেন। বিমান ভ্রমণে প্রচুর পানি বা তরল জাতীয় খাবারের পরামর্শ দেয়া হয়। ঘাড়ের পেছনে দেওয়ার জন্য বালিশ বা কুশন রাখতে পারেন সঙ্গে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে অস্বস্থি লাগলে হালকা কয়েকটা ব্যায়াম,  যেমন হাঁটু বা কবজি হালকা এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন। দীর্ঘ ভ্রমণে পায়ে পানি আসে বা ফুলে যায়। তাই পা অল্প সময়ের জন্য একটু উঠিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে নিন। কিংবা কোমরের পেছনে দুইহাত নিয়ে মাথাটি পেছনের দিকে ঠেলে দিন। দেখবেন বেশ আরাম বোধ করছেন। চাইলে কিছু সময়ের জন্য হাঁটতে পারেন।

পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভ্রমণের সময়: পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ক্ষেত্রে বাসের একদম পেছনের দিকের সিট কিংবা ট্রেনের একেবারে পেছনের দিকের বগিতে অনেক বেশি ঝাঁকি অনুভূত হয়। তাই গর্ভবতী নারীদের উচিত টিকেট করার সময়ে এ বিষয়টি খেয়াল রাখা খুবই জরুরী। গর্ভাবস্থায় এসি বগি বা স্লিপারি কোচে ভ্রমণ করা ভালো। কারণ এসিযুক্ত বগিতে হাঁটাচলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে, ঝাঁকি কম হয় এবং গরমের দিনে শরীরও খারাপ হবে না। যাত্রাকালীন সময় বা গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পর যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলূন। আপনার লাগেজ বহনের জন্য আপনার সঙ্গী বা কোন কুলির সাহায্য নিন।

নৌ ভ্রমণের সময়: গর্ভাবস্থায় নৌ ভ্রমণের সময় আপনার সী সিকনেস হতে পারে যার কারনে বমি, মাথা-ব্যথা, মন খারাপ হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ সঙ্গে রাখুন।নৌযানে ভ্রমণের সময়ে আারামদায়ক কেবিন ভাড়া করুন।রাত্রিকালীন সময়টা ডেকে বা খোলা হাওয়ায় না থাকায় ভালো। ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশুদ্ধ খাবার পানি সঙ্গে রাখুন। সী-ফুড যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। পিচ্ছিল জায়গা এড়িয়ে চলুন।

যেসব যানবাহন এড়িয়ে চলা উচিত: গর্ভাবস্থায় মোটর সাইকেলে, রিক্সা কিংবা কোন ঝুঁকিপূর্ন যানবাহনে দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়া একেবারেই উচিত না। তাই গর্ভাবস্তায় টু-হুইলের যানবাহনে ভ্রমন করার ঝুঁকি নিবেন না একদমই।

নিউজ ট্যাগ: প্রেগন্যান্ট

আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর