প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে সিতি রাহাইউ নামের এক তরুণী লক্ষ্মীপুরে এসেছেন। বাংলাদেশের মামুন হোসেন ও সিতি মালয়েশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সেই সুবাদে তাদের পরিচয় ও প্রেম।
রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এর আগে, শনিবার বিকেলে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসেন দুজন।
জানা যায়, সিতি রাহাইউ ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ে বসবাসকারী মৃত জুমিরান ও রাতনারিং দম্পতির মেয়ে। তিনি মালয়েশিয়ার রাজধানীতে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
মামুন হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রফিক উল্লাহ ও সেতারা বেগমের ছেলে। তিনিও একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
প্রায় ৫ বছর আগে চাকরির সুবাদে সিতির সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব তৈরি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মামুন বলেন, ‘২০১৭ সালে আমাদের পরিচয় হয়, এরপর প্রেম। বিয়ের জন্য এক মাসের ছুটি নিয়ে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছি। ছুটি শেষে আবার মালয়েশিয়া চলে যেতে হবে। তবে সিতি বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী।’
মামুনের বাবা রফিক উল্লাহ বলেন, ‘এখানে আসার পর পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে গেছে সিতি। সবাইকে আপন করে নিয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্বজন ও গ্রামের মানুষ পুত্রবধূকে দেখার জন্য ভিড় করছে।’
সিতি ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় জানান, মামুনের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন। তিন লাখ টাকা দেনমোহরে মামুনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এ দেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ তিনি।
এর আগে, গত বছরের ৮ মার্চ প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসেন ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামে ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী। রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের রাসেল আহমেদকে বিয়ে করেন তিনি।