সাভারের আশুলিয়ায় গোপনে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করায় চিকিৎসক প্রেমিকের
বাসায় এসে আত্মহত্যা করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। এঘটনায় পুলিশ
তার প্রেমিককে আটক করেছে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাতে ওই ছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ।
নিহত নুসরাত মীম (২৬) সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান)
শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাড়ি বরিশাল জেলায়, বাবার নাম মৃত শাহজাহান তালুকদার।
আটক ফিরোজ আলম ঢাকার দোহার থানার রাধানগর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক৷ আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ
করেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রায় ৬ মাস
আগে চিকিৎসক ফিরোজ আলম বিয়ে করেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার দুপুরে আশুলিয়ার
ডেন্ডাবর এলাকার ফিরোজের ভাড়া ফ্ল্যাটে যান নুসরাত। সেখানে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে
ফিরোজ তাকে কক্ষে রেখে বারান্দায় গিয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে যান। এসময় নুসরাত বারান্দার
দরজা আটকে নিজের ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি জানলা
দিয়ে দেখতে পেয়ে ফিরোজ চিৎকার করতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি আশুলিয়া থানায় জানায়।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে রুমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ
উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায়
আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এসেছেন। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।