Logo
শিরোনাম

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন- এ সন্দেহে তাকে হত্যা করে দেহ দুই টুকরো করেছে পাষণ্ড এক স্বামী। হত্যার পর দিখণ্ডিত সেই দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে খালে। 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা ক্যানেলে ওই নারীর দেহাবশেষের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। হত্যার শিকার নারীর নাম রেণুকা খাতুন (৩০)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম আনসারুল।  

পুলিশ জানিয়েছে, শিলিগুড়ির কলেজপাড়ায় একটি বিউটি পার্লারে কাজ শিখতে যেত রেণুকা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে তার খোঁজ মিলছিল না। গত ২৪ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে রেণুকার পরিবার। তারপরই তদন্তে নামে পুলিশ।

আনসারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গত ২৪ ডিসেম্বর ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন আনসারুল। তারপর দেহ দুই টুকরো করে চটহাট সংলগ্ন তিস্তা ক্যানেলে ভাসিয়ে দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত স্বামীকে শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করানো হয়। তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।


আরও খবর



যেভাবে সময় কাটাবেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে আগামী এপ্রিলে বঙ্গভবন ছাড়ছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামী ২৩ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গভবন ছাড়বেন তিনি। ইতোমধ্যেই তার বিদায়ের দিনগণনাও শুরু হয়েছে।

কারণ, ইতোমধ্যেই দেশের পরবর্তী (২২তম) রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে নতুন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা রয়েছে।

দীর্ঘ ৬৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক হয়েছে মো. আবদুল হামিদের। তাই বিদায়ের আগে তাদের কয়েকজনকে গতকাল রোববার বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। তাদের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় নানা স্মৃতিচারণা করেছেন, পাশাপাশি জানিয়েছেন অবসর জীবনের পরিকল্পনা।

এ সময় লেখালেখি করে অবসর জীবন কাটানোর আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। মো. আবদুল হামিদ জানান, বঙ্গভবন ছেড়ে রাজধানীর নিকুঞ্জের বাসায় উঠবেন। মাঝে মাঝে যাবেন জন্মস্থান মিঠামইনে। আর লেখালেখি করে অবসর সময় কাটাবেন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যা থেকেই বঙ্গভবনের দরবার হলে জড়ো হতে থাকেন আমন্ত্রিত সাংবাদিকরা। সাড়ে ৭টার দিকে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি সেখানে প্রবেশ করেন। এ সময় আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। প্রটোকল ডিঙিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে করমর্দন করেন এবং হাসিমুখে সবার সঙ্গে ছবিও তোলেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের সঙ্গে তার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সাংবাদিকদের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। সারা জীবন সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। ৬৪ বছরের জীবনে সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমার জন্য নেগেটিভ কিছু পাইনি, সংবাদকর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, বরাবরই সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার একটা সুসম্পর্ক ছিল। বিশেষ করে আমি যখন ডেপুটি স্পিকার ছিলাম এবং শেষে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করা পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গে আমার খুবই আন্তরিক সম্পর্ক ছিল।

হাওর এলাকার কিছুটা পরিবর্তন আনতে পেরেছেন জানিয়ে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, কোনো সরকারের আমলেই ব্যক্তির জন্য কিছু চাইনি। প্রতিটি রাজনীতিবিদ যদি এ রকম মনমানসিকতা পোষণ করেন, তাহলে অবশ্যই এলাকার উন্নয়ন হবে।

মো. আবদুল হামিদ আরও বলেন, আর ৪২ দিন পর আমি জনতার মাঝে ফিরে যাব। আমার ভালো লাগছে, আমি সম্মানজনকভাবে বিদায় নিতে পেরেছি। সবার কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। এ সময় সাংবাদিকদের হাওর এলাকায় এবং ঢাকার নিকুঞ্জের নিজ বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- প্রবীণ সাংবাদিক আবেদ খান ও নাঈমুল ইসলাম খান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বর্তমান সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, এটিএন বাংলার নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন, সাংবাদিক আশিষ সৈকত, নাফিজা দৌলা ও নীলাদ্রি শেখর।


আরও খবর



ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে ১ জন। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৭ জন ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রোগী ৭ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ জানুয়ারি থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ভর্তি হয়েছে ৮১৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪০২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪১৬ জন। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭৯২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।


আরও খবর

একদিনে ৭ জনের করোনা শনাক্ত

বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩




স্বল্পোন্নত দেশগুলো কারও করুণা চায় না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাতার সম্মেলনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেছি। স্বল্পোন্নত দেশগুলো কারও করুণা বা দাক্ষিণ্য চায় না। বরং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ন্যায্য পাওনা চায়, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কাতার সফরের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে সহযোগিতা করতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৪ মার্চ কাতারে যান শেখ হাসিনা। এলডিসি-৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দেন তিনি। গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কাতার সফর শেষে দেশে ফেরেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্জনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমরা একটি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে কাজ করছি। এ জন্য কাতারসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি।


আরও খবর



রিভিউ খারিজ: অধ্যাপক হত্যায় দুই জনের ফাঁসির রায় বহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডিত এক আসামির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ফলে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসির কাষ্ঠে যেতেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে তার আগে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। আর যথারীতি যাবজ্জীবন দণ্ডিতদের সাজাভোগ করতে হবে।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী ও নিখিল কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তিন আসামির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২ মার্চ দিন রাখেন আদালত।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোলে পাওয়া যায় পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।  এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।  দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম।

খালাসপ্রাপ্ত দুজন হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট। ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম।

ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন- নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামির দণ্ড বাড়াতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, আসামিদের স্বীকারোক্তিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, হত্যার এ ষড়যন্ত্রে মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনই মুখ্য এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমাদের এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন শুধুমাত্র প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পেতেই ড. তাহেরকে এ পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন। তার ধারণা ছিল, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হিসেবে তার পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব না। 

আমাদের এও বলতে দ্বিধা নেই যে, আপিলকারী জাহাঙ্গীর আলম এবং আবেদনকারী আব্দুস সালাম ও নাজমুল আর্থিক সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার জন্য ড. মহিউদ্দিনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। 

১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম এবং যাবজ্জীবন দণ্ডিত সালাম রিভিউ আবেদন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রিভিউয়ের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর শেষ হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি।


আরও খবর



গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ : জিএম কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৩৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আজ বৃহস্প্রতিবার (১৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।

এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা, ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। সংবাদ সংগ্রহের সময় নিরাপরাধ সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না।

জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, এমনিতেই দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইনের কারণে দেশের গণমাধ্যমে বেড়েছে সেলফ সেন্সরশিপ। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দেশের গণমাধ্যম সাধ্যমত চেষ্টা করে তথ্য প্রবাহ সচল রাখছে। গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা অসম্ভব। তাই, গণতন্ত্রের স্বার্থেই গণমাধ্যমের বিকাশে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে গণমাধ্যমকর্মীদের সকল নিরাপত্তা। 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় একইভাবে ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।


আরও খবর