নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নববধূকে জবাই করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এমন লোমহর্ষক ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত নববধূ রুপালী বেগম (২০) উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মনির চৌকিদারের বাড়ির সিরাজ মিয়ার মেয়ে।
রোববার (১২ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব সোনাদিয়া গ্রামের আবু তাহের বাবুল মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী ইউসুফ নবী রুবেলকে (২৬) রক্তমাখা ছোরাসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সে উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের পূর্ব সোনাদিয়া গ্রামের আবু তাহের বাবুল মেম্বারের বাড়ির মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত তিন মাস আগে পারিবারিক ভাবে রুবেলের সাথে বিয়ে হয় রুপালী বেগমের। কিছু দিন আগ থেকেই পরকীয়ার জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এ পরকীয়ার জেরে শনিবার দিবাগত রাতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা দেখা দেয়। একপর্যায়ে স্বামী রুবেল তার স্ত্রী পারভীনকে গায়ের ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফল কাটার ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
ওসি আরও জানায়, ওই সময় ঘরে থাকা বৃদ্ধ মায়ের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে হত্যাকারীকে আটক। প্রাথমিকভাবে জানা যায়,পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছোরা হত্যাকারীর দেখানো মতে ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরকীয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের ভাসুর রফিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।