
চাঁদে ভ্রমণ করা
যে খুব সহজ কোনো কাজ নয় তা আমাদের অধিকাংশেরই জানা। সর্বশেষ, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ
গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা চাঁদে আবারও মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে প্রাথমিক ক্রু–বিহীন মিশন পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুই দুইবারের মতো যাত্রা স্থগিত হয়ে যায়। সর্বশেষ মানুষটি
চাঁদে যাওয়ার পর পেরিয়ে গেছে ৫০ বছরেরও বেশি সময়। এর আগে মাত্র ১২ জন মানুষ চাঁদের
বুকে পা রাখার দুর্লভ সুযোগটি পেয়েছিলেন।
তবে এবার আর চাঁদে
গিয়ে চাঁদের অনুভূতি না নিলেও চলবে। পৃথিবীর বুকেই চাঁদ যাওয়ার অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়
তবে কেমন হবে? এমন অসাধ্যসাধনের পরিকল্পনা করেছে কানাডাভিত্তিক স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান
‘দ্য মুন ওয়ার্ল্ড
রিসোর্টস ইনকরপোরেশন’ (এমডব্লিউআর)।
প্রতিষ্ঠানটি
বিশ্বের বুকে আরেকটি বিস্ময়কর স্থাপত্যের নজির স্থাপন করতে যাচ্ছে। হুবহু চাঁদের আকৃতির
একটি রিসোর্ট নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দুবাইতে নির্মিতব্য ‘দুবাই মুন’ নামের বিলাসবহুল এই রিসোর্ট নির্মাণে
প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে।
প্রায় ২০০ মিটারের
অধিক উচ্চতা সম্পন্ন এ টাওয়ারের বাইরে অংশটি দেখতে হুবহু চাঁদের মতোই হবে। চাঁদের মতোই
গোলাকার এই রিসোর্টটির ব্যাস হবে ১৯৮ মিটার। ভেতরের সমতল চাকতির মতো করে করে করে গড়ে
তোলা হবে লুনার সারফেস। লুনার সারফেস ঘিরে থাকবে লুনার কলোনি। যেখানে দর্শনার্থীরা
শূন্য অভিকর্ষে (জিরো গ্র্যাভিটি) চাঁদে হাঁটার মতো অভিজ্ঞতা পাবেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে
হবে পুরো যাত্রার কোনো শেষ নেই। পরিবেশবান্ধব স্থাপনাটিতে নভোচারীদের প্রশিক্ষণের জন্য
থাকবে স্কাই ভিলা।
এ ছাড়া, স্থাপনাটিতে
থাকবে প্রায় ৪ হাজার বিলাসবহুল রিসোর্ট স্যুইট। থাকবে, ৩০০ টি ব্যক্তিগত বাসস্থানও
রাখা হবে বিক্রয়ের জন্য। যে কেউ চাইলে এসব স্যুইট কিনতে পারবে। এই স্যুইটগুলোর মালিকেরা
একটি বিশেষ ক্লাবের সদস্য হবেন যার আওতায় তাঁরা বিভিন্ন ধরনে সুবিধা লাভ করবেন।
এই চাঁদ রিসোর্ট
নির্মাণের ধারণার অন্যতম উদ্যোক্তা মাইকেল হোন্ডারসন খালিজ টাইমসকে বলেছেন, এই প্রকল্পটি
ব্যাপক জটিল, বেশ বড় আকারের এবং সম্পূর্ণভাবে আলাদা। দিয়ে এই স্থাপনাটি নির্মাণ করা
হবে সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হেন্ডারসন আরও বলেন, আমরা এই স্থাপনায় কার্বন ফাইবার ব্যবহার
করব যা বেশ শক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী। এ ছাড়া, মূল কাঠামোতে সোলার সেলও সংযুক্ত করা হবে
নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য।