বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার সংস্থাটির পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২২ অক্টোবর) তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার তাদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর করা আসামিরা হলেন- আওলাদ হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক, মো. হারুন-অর-রশিদ, ও মাহফুজুল আলম। তাদের শুক্রবার সকালে আটক করার পর দক্ষিণখান থানায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকের গ্রেফতার দেখানো হয়।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর এক ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়। এমন খবরে রাজধানীর উত্তরায় সড়কে নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন পরীক্ষার্থীরা। ১০ মিনিট বিক্ষোভ করার পর তারা সড়ক থেকে সরে যায়।
গ্রেফতারদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করা হয় ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে। সেখানে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এজন্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে দুই থেকে সাত লাখ পর্যন্ত টাকা নেয় প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রটি। আর গরিব হওয়ায় যারা টাকা দিতে পারেননি তাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে বাড়ি, জমি লিখে নেওয়ার অঙ্গীকার নেওয়া হয়।
প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকায় আরও কেউ জড়িত আছেন কিনা তা জানতে গ্রেফতারদের রিমান্ডে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। এরপরই আদালতে তোলা হলে বিচারক গ্রেফতার পাঁচজনের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।