ইউক্রেনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের একটি সমরাস্ত্র গুদাম ধ্বংস করতে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এই হাইপারসনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই প্রথম ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো হাইপারসনিক অস্ত্রের ব্যবহার করা হলো। রাশিয়ার ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম ‘কিনজল’। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে ‘রাশিয়া বলেছে তাঁরা ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি সমরাস্ত্র গুদাম ধ্বংস করতে প্রথমবারের মতো নতুন কিনজল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।’
শনিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, ‘হাইপারসনিক অ্যারো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ “কিনজল অ্যাভিয়েশন মিসাইল সিস্টেম” ইউক্রেনের ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক অঞ্চলের দেলিয়াতিন গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানের গোলাবারুদের এক বিশাল ভূগর্ভস্থ গুদাম ধ্বংস করেছে।’ ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক অঞ্চলটি ন্যাটোর সদস্য দেশ রোমানিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ওডেসা বন্দরের নিকটবর্তী ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করতে জাহাজ-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও ব্যবহার করেছে।
তবে এই বিষয়ে ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে বা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ‘কিনজাল’ অর্থ ড্যাগার বা তীক্ষ্ণ ছোরা। রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ডিসেম্বরে বলেছিলেন—রাশিয়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রধান অবস্থানে রয়েছে। তাঁর মতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতি, উচ্চতার কারণে এটিকে ট্র্যাক করা ও আটকানো অনেক কঠিন।