আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া
হচ্ছে মালয়েশিয়ার সীমান্ত। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দেশটির সরকারি উপদেষ্টা কাউন্সিল
বলছে, আগামী পহেলা জানুয়াারি থেকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে যেতে পারবেন বিদেশি পর্যটকেরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে,
করোনা মহামারির আঘাতে মালয়েশিয়ার পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে। এ খাতকে বাঁচাতে পদক্ষেপের
অংশ হিসেবে সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মালয়েশিয়ায় করোনার টিকার কার্যক্রম জোরদার
করা হয়েছে। এতে সংক্রমণের হার কমে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির অর্থনীতি
ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, সেখানকার তিন
কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশের বেশিকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশটির সাবেক
প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলছেন, বিদেশি ভ্রমণকারীদের ছাড়া পর্যটন শিল্পের ধীর
গতিতে উন্নতি হচ্ছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে সময়ের প্রয়োজন।
মালয়েমিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচির
প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। করোনা পরীক্ষাসহ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ অব্যাহত
থাকবে বলে জানিয়েছেন মুহিউদ্দিন। করোনার কেন্দ্রভূমি হওয়া দেশগুলো ও অন্যান্য অনুঘটকের
ভিত্তি করে পর্যটকদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
তবে অর্থনীতি সম্পূর্ণ খুলে দেওয়া নিয়ে
তিনি কোনো নিশ্চিত তারিখের কথা বলতে পারেননি। স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এ সংক্রান্ত
সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে মালয়েশিয়া ঘোষণা দিয়েছে, টিকা গ্রহণের শর্তে প্রতিবেশী সিঙ্গাপুরের সঙ্গে একটি ভ্রমণ-পথ খুলে দেওয়া হবে। দুদেশের টিকা নেওয়া নাগরিকেরা কোনো ধরনের কোয়ারেন্টিন ছাড়াই পরস্পরের দেশে ভ্রমণ করতে পারবে। ক্রমিকভিত্তিতে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও একই ধরনের ভ্রমণ করিডর চালু করতে তারা সম্মত হয়েছে।