Logo
শিরোনাম

পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় কুষ্টিয়ার খামারিরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৮৫জন দেখেছেন
Image

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগর, হাটে পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লেগেছে। কিন্তু হাটে বেচাকেনা নেই। ফলে হতাশায় ভুগছেন পশু বিক্রেতা ও হাটের ইজারাদার।

পশু মালিক ও বিক্রেতারা বলছেন, দুই বছর করোনার পর এবার গো-খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম বেশি। পশুপালনে খরচও বেড়েছে বেশ। এছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ফলে হাটে প্রচুর সমাগম থাকলেও বেচাকেনা নেই। অপরদিকে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার পশুর দাম বেশি। বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে। বেশি দামে পশু কিনে লাভে বিক্রি করা যাবে না। তাই লোকসানের শঙ্কায় পশু কেনার সাহস পাচ্ছি না।

জানা গেছে, প্রতি বিধবার উপজেলার কুমারখালী আলাউদ্দিন নগর এলাকায় বসানো হয় ঐতিহ্যবাহী আলাউদ্দিন নগর এর সপ্তাহিক পশুহাট। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে হাটে পশু নিয়ে আসেন কৃষক, খামারি ও ব্যবসায়ীরা। পশু কেনার জন্যেও আসেন ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। বিকেলে পশুহাটে গিয়ে দেখা যায়, আলাউদ্দিন নগর কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে বসেছে বিশাল পশুহাট। বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে কয়েক হাজার ছোট বড় বিভিন্ন রঙের গরু। সেখানে হাজার মানুষ। কেউ পশু বিক্রি করতে এসেছেন। কেউ এসেছেন কিনতে। আবার কেউবা এসেছেন কোরবানির পশু দেখতে। আর পাশে বসেছে ছাগলের হাট। সেখানেও পশু ও মানুষের উপচেপড়া ভিড়। তবে স্থানীয়দের কুরবানির জন্য দেড় থেকে দুই মণ ওজনের ছোট গরুর বেচাকেনা চলছে। ঈদের তিন থেকে চার সপ্তাহ আগেই হাট জমে উঠে। কিন্তু এবার তেমনভাব নেই।

আলাউদ্দিন নগর পশুহাটের ইজারাদার বলেন, হাটে পশু আছে প্রচুর। কিন্তু তেমন বেঁচাকেনা নেই। কিছু ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু কেনার লোক নেই। গোখাদ্যের দাম বেশি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পশুর চাহিদা ও দাম কম।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, একটি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নে এবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ৩ হাজার ৭৬৭ টি খামারে মোট ২৫ হাজার ৬৯৯ টি হৃদপুষ্টকরন পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। তন্মধ্যে ষাঁড় ১০ হাজার ৭৬৪ টি, বলদ ৬ হাজার ৫৩৪ টি, মহিষ ২১ টি এবং ছাগল ৮ হাজার ১৩৬ টি ও ভেড়া ২৪৪ টি। উপজেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ১২ হাজার ৫৪৩ টি। গত বছর খামারির সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮৮৭ টি। সেখানে পশু প্রস্তুত করা হয়েছিল ২৯ হাজার ৩২ টি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরে আলম বলেন, ঈদের হাট শুরু হয়েছে। তবে কেমন বেঁচাকেনা হচ্ছেনা। সাধারণত ঈদের সপ্তাহখানেক আগে বেশি পশু কেনাবেচা হয়।


আরও খবর