দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার শেষে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেই বড় দরপতন হয়েছে।
রোববার (১২ জুন) ডিএসইর সূচক অনুসারে দেখা যায়, দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমে গিয়ে ৪৮ পয়েন্টে এসেছে। ক্রয় করার চাইতে বিক্রয়ের চাপ অনেকটা বেশি থাকায় ২২টি খাতের কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ক্রেতা ছিল না প্রায় ৪০টি কোম্পানিরই।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য প্রত্যাশার বিপরীতে প্রাপ্তি কম। তবে নেতিবাচক তেমন কিছু নেই। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারও বাজেটে তাদের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মেলানোর চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে এদের একটি বড় অংশ ঘোষিত বাজেট নিয়ে তাদের হতাশা প্রকাশ করেছেন। প্রায় সবার মুখে একই কথা-এবারের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক কিছু নেই। সবচেয়ে বেশি হতাশা ছড়িয়েছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার বিদ্যমান সুযোগ আগামী অর্থবছরে বহাল না রাখার প্রস্তাবে।
অন্যদিকে, দেশের অন্যতম পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৩৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।
রোববার ডিএসইতে ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা কম। গতকাল ডিএসইতে ৭৫৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৪৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪০৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৩৪ পয়েন্টে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন। বাজেটে পুঁজিবাজারের পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের অধিক শেয়ার আইপিও’র মাধ্যমে হস্তান্তর হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার ২২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ তবে ১০ শতাংশ বা তার কম শেয়ার আইপিও এর মাধ্যমে হস্তান্তরকারী তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২২.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।