ইউক্রেইন যুদ্ধের মধ্যে পোল্যান্ড সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোনোভাবেই আর ‘ক্ষমতায় থাকতে পারেন না’।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শনিবার পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে ইউক্রেইনের শরণার্থীদের কাছে তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনে পুতিনকে ‘কসাই’ আখ্যায়িত করেছেন বাইডেন। এর তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে মস্কোর পক্ষ থেকে। ক্রেমলিন বলেছে, পুতিন ক্ষমতায় থাকবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত বাইডেন নেবেন না।
হোয়াইট হাউজ অবশ্য পরে বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছে যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাশিয়ায় সরকার পরিবর্তনের ডাক দেননি। তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন, ইউক্রেইনে দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ওয়ারশর রয়্যাল কাসলে দেওয়া ভাষণে বাইডেন সোভিয়েত লৌহ যবনিকার অধীনে পোল্যান্ডের চার দশকের ইতিহাস মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার স্বার্থে রাশিয়ার স্বৈর শাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জরুরি ভিত্তিতে একাট্টা হওয়া দরকার। বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি বলন, “ঈশ্বরের দোহাই, এই লোকটা ক্ষমতায় থাকতে পারে না।”
এর প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “রাশিয়ার ক্ষমতায় কে থাকবে, এটা বাইডেন ঠিক করবেন না। কেবল রুশ ফেডারেশনের নাগরিকরাই এটা নির্ধারণ করার এখতিয়ার রাখে।”
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাশিয়ায় পুতিনের ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করেননি, সেখানে ক্ষমতার পরিবর্তনের কথাও বলেননি। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, প্রতিবেশীদের ওপর পুতিনের ক্ষমতার যে প্রয়োগ, সেটা চলতে পারে না। পুতিন ‘ক্ষমতায় থাকতে পারেন না’- এ অংশটি বাইডেনের ভাষণের খসড়ায় ছিল না বলেও মন্তব্য করেন হোয়াইট হাউজের ওই কর্মকর্তা। মার্কিন কর্মকর্তারা এর আগেও বলেছেন, পুতিনকে রাশিয়ার ক্ষমতা থেকে সরানো তাদের লক্ষ্য নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এ মাসের শুরুতেও বলেছেন, “রাশিয়ার ক্ষমতায় পরিবর্তন ঘটানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। রাশিয়ার নেতৃত্ব কে দেবে, সে দেশের মানুষই তা ঠিক করবে।”