ইউক্রেনে দ্বিতীয়
দিনেও চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর তুমুল লড়াই। রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কিছু জায়গায় চলছে দফায়
দফায় বিস্ফোরণ। ইউক্রেনের সহিংসতা বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে
ফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার
(২৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতের প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের
সঙ্গে। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।রাশিয়া এবং
ন্যাটো গোষ্ঠীর মধ্যে যে বিরোধ তৈরি হয়েছে, তা যে আন্তরিক এবং সৎ কূটনৈতিক আলোচনার
মাধ্যমেই দূর করা সম্ভব- মোদী সে বার্তাই দিয়েছেন পুতিনকে ।
বিবৃতিতে আরও
বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের ঘটনা সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদিকে অবহিত করেন।
এ সময় নরেন্দ্র মোদী ইউক্রেনে ভারতীয় নাগরিক ও ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের
উদ্বেগ নিয়েও আলোচনা করেন। যেহেতু ভারত-রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে
তাই সামরিক হানা বন্ধ করতে পুতিনকে আহবান জানান মোদী।
এর আগে, দিল্লিতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইগর পোলিখা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে শান্তি ফেরাতে মধ্যস্থতা করার আহ্বান জানান। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেওয়ার পর ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সৈন্যরা।
রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩৭ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩১৬ জন।
মিত্রদের ব্যাপারে অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশকে রক্ষার জন্য আমরা একা লড়াই করছি। আমাদের সঙ্গে মিলে কে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত? আমি কাউকে দেখি না। এদিকে প্রথম দিনে ইউক্রেনে কমপক্ষে ১২ জন রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। হামলার প্রথম দিনটিকে সফল বলে মনে করছে মস্কো।
জাতিসংঘের শরণার্থী
সংস্থা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১ লাখ নাগরিক ঘরছাড়া হয়েছেন। এছাড়া কয়েক হাজার
নাগরিক ইউক্রেন ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন
উল্লেখ্য, কয়েকদিনের
উত্তেজনার পর বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
পুতিন। এরপর ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। দিনভর জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে তিন
দিক থেকে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে তারা।