চিকিৎসা অবহেলায়
আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্র শাহরিয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতালের স্টাফদের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতিও
হয়েছে। এসময় স্টাফদের বেধরক মারধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে
অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার রাত সাড়ে
১০টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মেডিকেল চত্বর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গুরুতর অবস্থায় শাহরিয়ারকে হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতালের দায়িত্বরতরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন কাগজপত্র চেয়ে বসেন।
এছাড়া তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু না করে বিভিন্ন নিয়ম মানতে বাধ্য করা হয়। এতে করে কালক্ষেপণ
হওয়ায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার একপর্যায়ে
রাত পৌনে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা
অধ্যাপক তারেক নুর হ্যান্ড মাইকে বলেন, ‘অবহেলার কারণে কেন আমাদের শিক্ষার্থী মারা গেল? কেন শিক্ষার্থীদের
মারধর করা হলো? এগুলোর বিচার করতে হবে।’
রাজশাহী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, এই মুহূর্তে সব বিষয় সমাধান করা সম্ভব না। কেননা একজন
মারা গেছে, সেটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্যদের মধ্যে মারামারির বিষয়টি।
তাছাড়া এখন সবার মাথা গরম। তাই পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি। সবকিছু শান্ত হোক।
তারপর কে, কাকে মারধর করেছে, সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তাই এ মুহূর্তে সকলকে শান্ত
হওয়ার কথা জানান তিনি।
এর আগে, রাত ৮টার
দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের উপরতলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন
শাহরিয়ার। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ৮নং ওয়ার্ডে মারা যান
তিনি।
শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের
মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল
উপজেলায়।
কিৎসা অবহেলায়
রাবি ছাত্রের মৃত্যু, উত্তপ্ত মেডিকেল চত্বর।