Logo
শিরোনাম

রাইড শেয়ার: অ্যাপে নিয়ন্ত্রণ নেই, আছে নৈরাজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১২১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গত দুই-তিন বছর ধরে রাজধানীতে ও ঈদযাত্রায় রাইড শেয়ারিংয়ের নামে মোটরসাইকেল চালকদের নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সড়কে যানজট এবং দুর্ঘটনা আলোচনার অন্যতম বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে রবিবার ভোর থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর মোটরসাইকেল চালকদের বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য পরিশেষে দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর পর পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালানো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সেবা প্রতিষ্ঠানের নজরদারির ঘাটতি, বিআরটিএর প্রযুক্তির ব্যবহারে অদক্ষতার প্রমাণ সর্বোপরি অ্যাপস প্রতিষ্ঠানগুলির সার্ভিস চার্জ আদায় করার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও উচ্চ চার্জ আদায়কে এসবের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবার গ্রাহক স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের পাঠানো এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলা হয়।

প্রতিক্রিয়ায় আরও বলা হয়, এখন রাজধানীতে রাইড শেয়ারিং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে চলে না, চলে খ্যাপে। প্রযুক্তি সেবায় নিয়ন্ত্রণ নেই, ফলে সড়কে আছে নৈরাজ্য। বিশ্বের বহু দেশে ইন্টারনেটভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু করে ব্যক্তিগত মোটরযান ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।  এটি এমন একটি পরিবহন ব্যবস্থা, যেখানে গাড়ির মালিক তার নিজের প্রয়োজন মিটিয়েও ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত মোটরযান ভাড়ায় ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে মোটরযানের সংখ্যা কমিয়ে আনাই অন্যতম উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের। সরকার রাইড শেয়ারিং নীতিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করে, যা ২০১৮ সালে পাস হয়।

এতে পরিবহনের সংখ্যা কমার চেয়ে উল্টো পরিবহনের সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, সড়কে বেড়েছে নৈরাজ্য, বেড়েছে দুর্ঘটনা। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পরিচালিত এ সেবা প্রদানের জন্য সর্বপ্রথমে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ কর্তৃক এনলিস্টেড হতে হয়। সেখানে সে কী পরিমাণ গাড়িচালক ও গাড়ি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সেবা প্রদান করবে তার যাবতীয় তথ্য গাড়ির লাইসেন্স ড্রাইভিং, লাইসেন্সসহ যাবতীয় তথ্যাদি জমা দিতে হয়। ভাড়ার পরিমাণ নির্ধারিত করে দেওয়া হয় বিআরটিএ থেকে। কিন্তু প্রথম প্রথম মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে চললেও বর্তমান সময়ে অ্যাপভিত্তিক সেবা আর চলে না। চলে চুক্তিভিত্তিক খ্যাপের মাধ্যমে। এখন আর সড়কে বোঝা যায় না, কোনটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে চলে আর কোনটি ছিনতাইকারী ডাকাত দল বা ব্যক্তিগত কর্মজীবী মানুষের পরিবহন।

বিআরটিএর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঢাকায় বর্তমানে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৪৯০টি। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, এ সেবাকে অতি মুনাফার পেশা হিসেবে নিয়েছে এক শ্রেণীর লোক। কিন্তু বিআরটিএ থেকে অ্যাপভিত্তিক সেবা দেওয়ার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান এনলিস্টমেন্ট নিয়েছে, তাদের দুর্বলতা, অতি মুনাফা, সেবা প্রদানে অনাগ্রহ, মনিটরিংয়ের অভাবে আজ প্রযুক্তি সেবা মুখ থুবরে পড়েছে। সরকার ও রাজস্ব হারাচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশে যেসব রাইড শেয়ারিং এনলিস্টেড হয়েছে, এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাইড শেয়ারিং অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উবারের প্রায় এক লাখ চালক রাজধানীতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকায় আরেকটি জনপ্রিয় বাইক রাইডিং পাঠাওয়ের আছে প্রায় দেড় লাখের বেশি রাইডার। এ ছাড়াও রাজধানীতে সহজ ডট কম, স্যাম, ওভাই, ওবোন ইত্যাদির আওতায় আছে আরও প্রায় ৫০ হাজার রেজিস্ট্রার্ড বাইক।  এ হিসাবে রাজধানীতে মোট রেজিস্টার্ড বাইকারের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। তবে এ রাইডারদের অনেকেই একসঙ্গে কয়েকটি অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত। এ ৩ লাখ বাইকাররা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি চালান দৈনিক ৬-১০ ঘণ্টা। দ্বৈত লাইসেন্সধারীদের বাদ দিয়ে মোট রাইডারের সংখ্যার হিসেবে ১ লাখ ২৩ হাজার রাইডার ৫ ঘণ্টা বা বেশি সময় বাইক চালান। তাদের আয়ের প্রধান উৎস বাইক রাইডিং। এ পরিসংখ্যানে বোঝা যায়, এখনো প্রায় ৪ লাখ চালক অ্যাপভিত্তিক পরিবহনের সাথে যুক্ত নয়। এ চালকদের চিহ্নিতকরণের জন্য নেই আলাদা পোশাক, নেই প্রশিক্ষণ। তাদের মনিটরিংয়ে সবার আগে বিআরটিএকে প্রযুক্তিবান্ধব হয়ে অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি মোটরসাইকেল চালকদের উন্নত প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে রাস্তায় চলা এবং প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে সরকার পাবে রাজস্ব, সড়কে শৃঙ্খলার পাশাপাশি যাত্রীরা পাবেন নিরাপত্তামূলক সেবা।


আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর