বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের সেন্টারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় চলা অভিযানে রাজধানীতে আরও ৭টি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই নিয়ে গত দুদিনে শুধু ঢাকা মহানগরীর ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিত হল। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রথম দিনের ন্যায় দ্বিতীয় দিনেও দুপুরের দিকে শুরু হয় অভিযান কার্যক্রম। এরপর একে একে অন্তত ১৫টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় নিবন্ধন না থাকায় কেবল কামরাঙ্গীরচরের আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নূর ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইনান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে চারটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাকি তিনটির মধ্যে রয়েছে রায়ের বাজারের বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটাল, খিলগাঁওয়ের সিমান্তিক ক্লিনিক এবং একই এলাকার চৌধুরী পাড়ার মুক্তি নার্সিং হোম।
এর আগে সোমবার খিলগাঁও জেনারেল হাসপাতাল, খিদমাহ লাইফ কেয়ার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতাল, মাতুয়াইলের কনক জেনারেল হাসপাতাল, বকশীবাজারের সালমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চানখাঁরপুল জেনারেল হাসপাতাল, বনানীর হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কসমেটিক সার্জারি কনসালটেন্সী অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং বনানীর ঢাকা পেইন অ্যান্ড স্পাইন সেন্টার নামে ৮টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৬ মে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে দুদিন অভিযানে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যেখানে এক হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নিবন্ধনের আওতায় আসতে তিন মাস সময় দেয় সরকার।
তবে তাতে কর্ণপাত করেনি সাড়ে চার হাজার প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে অনেকের আবেদন করলেও শর্তপূরণ করছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। এমতাবস্থায় নিবন্ধনের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে সেবা দিতে না পারে সে জন্য দ্বিতীয় দফায় সোমবার থেকে ফের অভিযানে নেমেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সরকারি সংস্থাটির হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার সহকারী পরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার, কার্যক্রম চালাতে হলে নিবন্ধন নিতে হবে। যারাই বেআইনিভাবে কার্যক্রম চালাবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।