রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার শুক্রাবাদ এলাকায় অনলাইনে ফেসিয়াল সেবা নেওয়ার কথা বলে বিউটিশিয়ানকে বাসায় ডেকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ১২ অক্টোবর রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামলীতে তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মো. রিয়াদ (২৪) ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩)।
এইচএম আজিমুল হক বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার বিউটিশিয়ান নারী হাজারীবাগ এলাকায় বসবাস করেন। সেখান তিনি একটি অনলাইন পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বাসায় গিয়ে নারীদের ফেসিয়ালসহ বিউটি পার্লারের সেবা দিতেন। অনলাইন পেজের সেই নম্বরের সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার মেয়ে কণ্ঠের মাধ্যমে সেই পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ফোন দেওয়া হয়। এ সময় জানানো হয়—শুক্রাবাদ এলাকায় ফেসিয়াল সেবা দিতে হবে। পরে সাভার থেকে পার্লারকর্মী শুক্রাবাদের উদ্দশে রওনা হন।’
ডিসি বলেন, ‘রাস্তায় আসতে আসতে এ সময় একটি ছেলে কণ্ঠে (রিয়াদ) তাঁর অবস্থান সম্পর্কে ফোনে বারবার জানতে চাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার পর রিয়াদ শুক্রবার থেকে ওই নারীকে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। এ সময় খালি বাসায় রিয়াদ তার বন্ধু সিয়াম ও তার আরেক বন্ধু জিতু মিলে সেই পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর নারীকে রাস্তায় একটি সিএনজিতে তুলে দেয় তারা।’
গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে উল্লেখ করে এইচএম আজিমুল হক বলেন, ‘ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তিনজনই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। এ ধর্ষণের সঙ্গে তাদের আরেক বন্ধু জিতু সরাসরি জড়িত।’
যদিও সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে গ্রেপ্তার সিয়াম এবং রিয়াদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নই, আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে।’