রাজধানীতে পৃথক
স্থান থেকে নারীসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- বাড্ডার দাউদ ইসলাম
সাগর (২৮) ও খিলগাঁওয়ের ওয়াহিদা বেগম হ্যাপি (২৫)। মঙ্গলবার (২৫অক্টোবর) বেলা পৌনে
৩টার দিকে বাড্ডার আলীর মোড়ের বাসা থেকে সাগর ও খিলগাঁও নন্দিপাড়া ১ নম্বর রোডের বাসা
থেকে বিকাল ৪টার দিকে হ্যাপির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়
পুলিশ।
খিলগাঁও থানার
উপ পরিদর্শক (এসআই) সোনিয়া পারভীন জানান, বিকালে ৯৯৯এর মাধ্যমে খবর পেয়ে খিলগাঁওয়ের
বাসা থেকে হ্যাপির মরদেহ উদ্ধার করি। এ সময় সে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলে ছিল। পরে
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো
হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এসআই আরও জানান,
৮বছর আগে বিয়ে হয়েছিল হ্যাপির। কিছুদিন আগে ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে সে মানসিক ভাবে
বিষণ্ণ ছিল। এ কারণে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হ্যাপির ভাই ইমান
আলী জানান, তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়। বাবার নাম ওসমান
গনি। বর্তমানে খিলগাঁও নন্দিপাড়া ১ নম্বর রোডে একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকে। আজকে সবার
অগোচরে হ্যাপি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে হ্যাপি ছিল সবার
বড়।
এদিকে বাড্ডা
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খাইরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে বেলা পৌনে ৩টার দিকে বাড্ডায়
আলীর মোড়ের বাসা থেকে সাগরের মৃতদেহ উদ্ধার করি। এসময় সে ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে ঝুলছিল।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। পারিবারিক কারনে সে আত্মহত্যা
হয়েছে।
মৃত সাগরের বন্ধু
শাওন মাহমুদ জানান, সাগরের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাঙলকোর্ট উপজেলায়। বাবার নাম
আব্দুল মান্নান। বর্তমানে বাড্ডার আলীর মোড়ের বাসায় ভাড়া থাকতো।
সাগর আরও জানান,
সাগর দুই বিয়ে করেছিলেন। পাঁচ বছর আগে আঁখি নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। দুই বছর পর ডিভোর্স
হয়ে যায়। পরে সালমা আক্তার নামে আরেক মেয়েকে বিয়ে করেন। তবে পারিবারিক কোনো কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে।