রাজধানীর মিরপুরে
বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচ প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি)
সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন-
খোরশেদ আলম (২৮), মো. ফয়সাল হাসান ফাহিম (২৪), আনোয়ার পারভেজ ভূঁইয়া (২৫), মো. মমিনুল
ইসলাম (২৯) ও মো. নজরুল ইসলাম (৪০)। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ
মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, খোরশেদ
আলম একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির এজেন্ট। বাকিরা বিকাশের এজেন্ট এবং দোকানদার। প্রতারক
এই চক্রের মূল হোতা খোরশেদ আলম। তিনি একটি মোবাইল কোম্পানির মার্কেট অপারেশন ডিস্ট্রিবিউটরের
এজেন্ট। তিনি মূলত ওই কোম্পানির সিম নিবন্ধক। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সিম বিক্রি
করেন। এজেন্ট হওয়ার সুবাদে এবং সুযোগে তিনি বিভিন্ন বস্তি এলাকায় গিয়ে কৌশলে ফিঙ্গার
প্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন।
সংগৃহীত এসব ফিঙ্গারপ্রিন্ট
ও জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিম ইস্যু করেন। এসব সিম তিনি বিক্রি করেন বিকাশ এজেন্ট
আনোয়ার ও ফয়সালের কাছে। সাধারণত একটি সিম ৬০ টাকা হলেও এসব সিম খোরশেদ বিক্রি করেন
২০০ টাকা করে। ২০০ টাকা দরে কেনা এসব সিম আবার ৩০০ টাকা দরে আনোয়ার ও ফয়সালের কাছ থেকে
কিনে নেন বিকাশ দোকানদার মোমিনুল। পরে এসব সিম থেকেই বিকাশ এজেন্ট, কর্মকর্তা সেজে
গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি
ভুক্তভূগি এক ব্যক্তি তার বিকাশ নম্বরে ১২ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করেন। বাসায় ফেরার পর
তাকে ফোন করে জানানো হয় ক্যাশ ইন করার সময় ভুল নম্বরে টাকা চলে যাওয়ায় একটি নাম্বার
লক করে দেওয়া হয়েছে। সেই লক খোলার জন্য ওটিপি তার নাম্বারে পাঠানো হয়েছে।
লোকটি সেই নাম্বার
বলার পর দেখেন তার বিকাশ থেকে ৪৭৯৪০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর ওই নাম্বারে ফোন করলে
সেই ফোন বন্ধ পান। পরে মিরপুর থানায় অভিযোগ করলে আজ ভোর সাড়ে ৪ টায় খোরশেদ আলমকে ডেমরা
থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের
কাছ থেকে ৫৪টি সিম উদ্ধার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডের
আরজি করে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।