প্রাচীন জনপদ নাটোর জেলায় সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত রাণী ভবানী রাজবাড়ীকে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৬ সালে রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় পার্ক হিসাবে ঘোষণা করে। রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় পার্কে রয়েছে ৬ টি দীঘি এবং শ্যামসুন্দর, তারকেশ্বর শিব এবং আনন্দময়ী কালিবাড়ি নামের ৩ টি মন্দির, যেগুলাতে এককালে রাজকীয় ভাবে পূজা – আর্চনার আয়োজন করা হত। রাণী ভবানী রাজবাড়ি নাটোর রাজবাড়ি নামেই অধিক পরিচিত।
রানী ভবানী রাজবাড়ী বড় তোরফ ও ছোট তরফ নামক দুটি অংশে বিভক্ত। ১২০ একর আয়তনের রানী ভবানী রাজবাড়ী কমপ্লেক্সে ছোট বড় মোট ৮ টি ভবন রয়েছে। কিছুটা মতভেদ থাকলেও নিশ্চিত ভাবে বলা যায় ১৭০৬ থেকে ১৭১০ সালের মধ্যে নাটোরের রানী ভবানী রাজবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল। তৎকালীন পুঠিয়ার রাজা দর্পনারায়ণের কাছ থেকে ১৮০ বিঘা আয়তনের একটি বিল রাজা রাম জীবন দান হিসাবে গ্রহন করে এই রাজবাড়ী ও অন্যান্য স্থাপনা গড়ে তোলেন। বড় তরফ অংশের মূল কমপ্লেক্সটিই রানী ভবানীর রাজ প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হত। নাটোর রাজবাড়ি প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।