Logo
শিরোনাম

রাঙামাটিতে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ফুফার বিরুদ্ধে, ৫ লাখ টাকায় আপোষ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ২২২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শহিদুল ইসলাম হৃদয়, রাঙামাটি

রাঙামাটি শহরে নেশাজাতীয় পানিয় খাইয়ে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া ১৪ বছর বসয়ী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই নিজ ফুফার বিরুদ্ধে। গত ২৫ মার্চ মধ্যরাতে শহরের কে কে রায় সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত জুয়েল চাকমা সরকারী একটি বাহিনীর সদস্য ও বর্তমানে তার চাকুরিস্থল চুয়াডাঙ্গায় বলে জানাগেছে। নিজ বাহিনী থেকে ছুটি নিয়ে রাঙামাটি এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে।

এদিকে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাটি শহরের চম্পকনগরস্থ আইনী সহায়তাদানকারি একটি অফিসে দুপুর থেকে বৈঠকে বসে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত দীর্ঘ অন্তত ৭ ঘন্টা সময় নিয়ে অভিযুক্তকে দোষি সাব্যস্ত করে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে দফারফা করে দিয়েছেন বলে প্রতিবেদককে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন ভিকটিমের মা।

একজন আইনজীবির নেতৃত্বে অন্তত ১০ থেকে ১২ জনের উপস্থিতিতে এই আপোষ মিমাংষা করা হয়েছে বলে ভিকটিমের মা মুঠোফোনে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী কিশোরী সাংবাদিককে জানায়, সরকারী একটি বাহিনীর সদস্য জুয়েল চাকমা তার ফুফা হয়, তিনি চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে চাকুরি করেন। গত ২৫ মার্চ ছুটি কাটাতে চুয়াডাঙা থেকে রাঙামাটির কে-কে রায় সড়কের নিজ ভাড়া বাড়িতে আসে জুয়েল চাকমা।

সেদিন রাত ১০টার দিকে রাতের খাবার শেষে ফুফা চুয়াডাঙা থেকে আনা জুস বেলের সরবতের সাথে মিশিয়ে তাকে খাইয়ে দেয়। তার সাথে ফুফার দুই সন্তান, আমরা দুই বোন এটি খাই। এটি খাওয়ার সাথে সাথে মাথা ঘুরালে আমার রুমে গিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। পরবর্তীতে রাত ২ টার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে নিজেকে সম্পুর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পাই আমি।

লাইট জ্বালানোর পর ফুফাকে রুমে দেখি। এ দিন আমার ফুফু বাড়িতে ছিল না। সেদিন ফুফুর সরকারী চাকুরির কারণে তিনি বিলাইছড়িতে অবস্থান করছিল। পরদিন ভোর সকালে পাশের বাড়িতে তার স্কুল শিক্ষিকার নিকট গিয়ে বিষয়টি খুলে বলেন এবং তার মা বাবাকে খবর দেন বলে জানান, ভুক্তভোগী কিশোরী। এ ঘটনার জন্য জুয়েলের শাস্তি দাবী করেন কিশোরীটি।

সেই স্কুল শিক্ষিকা চাকমা বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীটি তার মেয়ের ক্লাশমেট। ঘটনার পরদিন সে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিল। পরে তাদের পারিবারিক সমঝোতা হয় বলে জেনেছি। আমাদের আর কোন কিছু জানানো হয়নি।

অভিযুক্ত জুয়েল চাকমা ধর্ষনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মেয়েটি আমার মেয়ের মত। আমি তাকে কিছুই করিনি। চুয়াডাঙা থেকে আনা জুস খেতে দিয়েছি এটি ঠিক। এ জুস ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ভাল। আমিও নিজে এ জুস খেয়েছি। এটি খেলে একটু মাথা ঘুরায় বলে দোকানদার আমাকে ক্রয় করার সময় বলেছিল।

তিনি দাবি করেন, সেদিন রাতে এলাকায় আগুন লেগেছিল হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে আমি তার রুমে গিয়েছিলাম। হয়তো সে আমাকে দেখে ভয় পেয়েছে। আসলে এটি একটি পারিবারিক ষড়যন্ত্র। বিষয়টি নিয়ে নিউজ না করলে খুবই খুশি হব। এটা সব জানাজানি হয়েছে। আমার খুব লজ্জা লাগতেছে।

এদিকে এ ঘটনায় রবিবার রাঙামাটি শহরে চম্পক নগর মোড়ে একটি বেসরকারী অফিসে সালিস হয়। সালিস সূত্র জানায়, বাহিনী সদস্য জুয়েল চাকমা তার নিজের দোষ স্বীকার করেন। তিনি সালিসে বলেন, ঘটনা আমার দ্বারা সংগঠিত হোক বা না হোক আমি দোষী। অপরাধ স্বীকার করে জুয়েল চাকমা কিশোরীটির পড়াশুনার খরচ চালানোর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিশোরীকে তিনি ৫ লাখ টাকা দিবেন। এ টাকা থেকে মাসিক ৬ হাজার টাকা করে কিশোরী নামে ব্যাংক একাউন্টে জমা দিবেন।

কিশোরীর মা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন তথ্যগুলো ঠিক আছে। সালিসে বসার পর এ সামাধান হয়েছে। তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছে উক্ত অফিসের জনৈক অনিতা চাকমার একাউন্টে উক্ত ৫ লাখ টাকা জমা করা হবে এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত ইন্টারেষ্ট বাবদ আমার মেয়ে মাসিক ৬ হাজার টাকা করে দিবে বলে আপোষনামার কাগজে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ওসি কবির হোসেন জানান, এই ধরনের কোনো খবর আমরা পাইনি, কেউ মৌখিক বা লিখিত আকারেও আমাদেরকে বিষয়টি জানায়নি।

নিউজ ট্যাগ: রাঙামাটি ধর্ষণ

আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর