রাঙ্গামাটির
দূর্গম উপজেলা জুরাছড়িতে দেশের সর্ববৃহৎ বুদ্ধমূর্তির নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী। সম্পূর্ণ
নিজ খরচে এলাকাবাসী দেশের এই সর্ববৃহৎ বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ করে। জুরাছড়ি এলাকার দূর্গম
এলাকায় নির্মিত দেশের এই সর্ববৃহৎ বুদ্ধমূর্তিটি দেখতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসছে
মানুষ।
দেশের সর্ববৃহৎ
এই বুদ্ধমূর্তিটি নির্মাণ হওয়ায় জুরাছড়ির সুবলং বৌদ্ধ বিহার রাঙ্গামাটির আরো একটি অন্যতম
দৃষ্টিনন্দন স্থান হিসিবে ভবিষ্যতে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদ এলাকাবাসীদের।
এই বুদ্ধমূর্তির
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে আগামী ১৬-১৮ নভেম্বর। উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মানের
এক বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নভেম্বর মাসে। তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান
চলবে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
এতে অংশ নিবেন
দেশ বিদেশের বড় বড় বুদ্ধ পন্ডিতরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সরকারের গুরুত্বত্বপূর্ণ
মন্ত্রী, এছাড়াও ভারত, থাইল্যান্ড থেকেও আমন্ত্রিত অতিথি আসবেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
শ্রাবক বুদ্ধ
পরিণির্বাণ প্রাপ্ত সাধনানন্দ মহাস্থবির – বনভান্তের স্মরণে জুরাছড়ি সুবলং শাখা বনবিহারে এ বুদ্ধমূর্তিটি নিমার্ণ
করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় এখন চলছে উদ্বোধনের প্রস্তুতি। দেশের সর্ববৃহৎ এই বুদ্ধ
মূর্তি উদ্বোধনের দিন লাখো মানুষের সমাগম হবে বলে আশা এলাকাবাসীর।
উদ্বোধনের দিন
থাইল্যান্ডের ধম্মকায়া ফাউন্ডেশন গণ শ্রামনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এদিন ফাউন্ডেশন ৫০০
জনকে শ্রামন করে দেবে। এ আয়োজনের সব খরচ বহন করবে থাইল্যান্ডের ধম্মকায়া ফাউন্ডেশন।
নতুনভাবে নির্মিত
এই বুদ্ধমূর্তির দৈর্ঘ্য ১২৬ ফুট প্রস্থ ৪০ ফুট, উচ্চতা ৬০ ফুট। সুবলং শাখা বনবিহারের
উন্নয়ন সহ বুদ্ধ মূর্তি নির্মাণে ইতিমধ্যে নির্মাণে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে
বলে জানিয়েছেন বিহার কর্তৃপক্ষ।
প্রায় ১২৬ ফুট
দীর্ঘ বুদ্ধ মূর্তি এখন রাঙ্গামাটির জুরাছড়ির উপজেলার সুবলং বৌদ্ধ বিহারে। এটা দেশের
একমাত্র সর্ববৃহৎ বুদ্ধমুর্তি। ২০১২ সালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থায়নে
এই বুদ্ধ মূর্তি নির্মান কাজ শুরু হয়।
জুরাছড়ির সুবলং শাখা বনবিহারের সাধারণ সম্পাদক প্রচারক চাকমা বলেন, কিছু কাজ এখনো বাকি থাকলেও অধিকাংশ কাজই সম্পন্ন হয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ সিংহ শয্যা বুদ্ধমূর্তি দেখতে প্রতিদিনই মানুষ ছুটে আসছে সুবলং বৌদ্ধ বিহারে।
দর্শনার্থীরা
বলছে, সরকারীভাবে যদি সুবলং বনবিহারে উন্নয়ন কাজ করা যায় তাহলে এটা দেশের অন্যতম একটি
দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে উঠবে।
রাঙ্গামাটির
জুরাছড়ি উপজেলার মতো দূর্গম অঞ্চলে এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগ এবং খরচে দেশের সর্ববৃহৎ
বুদ্ধমূর্তি নির্মাণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
অংসুই প্রু চৌধুরী।
ধর্মীয় কাজ
সম্পাদনের পাশাপাশি এটি একটি অন্যতম স্থান হিসেবে পরিণত হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
সুবলং শাখা বনবিহারের উন্নয়নে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে উদ্যোগম নেয়া হবে।
দেশের সর্ববৃহৎ
এই বুদ্ধমূর্তি থাকা সুবলং শাখা বনবিহারে সরকারিভাবে এখানে নতুনভাবে আরো কিছু উন্নয়ন
কাজ করা গেলে রাঙ্গামাটিসহ দেশ-বিদেশের মানুষের জন্য এটি আরো একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান
হতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।