রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধে গত কয়েকদিন
ধরেই ইউক্রেনে রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র
ও রাশিয়া পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে। এবার বিষয়টি নিয়ে সাবইকে সতর্ক করলেন ন্যাটো
সামরিক জোটের মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ।
রোববার (১৩ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া।
জার্মান সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে আলজাজিরা
আরও বলছে, ন্যাটো মহাসচিব বলেছেন, কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেনে রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র ব্যবহারের
কথা শুনতে পাচ্ছি। তবে রাশিয়ার মিথ্যাচারের কারণে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করা সম্ভব
হচ্ছে না। রাশিয়া নানা রকম মিথ্যা দাবি করছে। এই মিথ্যাচারের মধ্যেই তারা (রাশিয়া)
রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করতে পারে। এমন করলে তা হবে যুদ্ধাপরাধ।
এর আগে শুক্রবার (১১ মার্চ) ওয়াশিংটন ডিসির
প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়া
রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলে দেশটিকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেন
ছেড়েছেন ২৫ লাখের বেশি মানুষ। এ ছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং
রাশিয়ার ১২ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে
তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে
ইউক্রেনে ৫৬৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪১ শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র
বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।