আজকের রাশিফল ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার ,সরস্বতী পুজো। বিদ্যা, বুদ্ধি লাভের আশায় বাগদেবীর আরাধনা করবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। পুজোর পর করজোড়ে দেবীর সামনে সমস্ত পরীক্ষায় সাফল্য লাভের প্রার্থনা করতেও ভুলবেন না কেউই। ছাত্র-ছাত্রী তো বটেই, বসন্ত পঞ্চমীর এই শুভ দিন কার কেমন কাটবে তা জানার আগ্রহ রয়েছে সকলের মধ্যে। জ্যোতিষ অনুযায়ী শ্রীপঞ্চমীর দিনে একাধিক রাশির জাতকরা বিশেষ ভাবে লাভবান হবেন। কোন কোন রাশি? সেই জিগ্গাসা মেটাতে চট করে দেখে নিন সরস্বতী পুজো আপনার কেমন কাটবে।

মেষ রাশি: আনন্দের দিন আপনাদের জন্য। শ্রীপঞ্চমীর এই শুভ দিনে সমস্ত কাজে সাফল্য লাভ করবেন আপনারা। দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন প্রতি পদে। চাকরিজীবীরা বিশেষ কাজে সাফল্য লাভ করবেন। পরিশ্রম ও ভাগ্য উভয়েরই অসাধারণ সাহায্য লাভ করবেন। আর্থিক পরিস্থিতিও ভালো থাকবে। নিজের পরিশ্রমে কর্মক্ষেত্রে লাভান্বিত হবেন। বিদেশী সম্পর্ক থাকলে আকস্মিক লাভ পেতে পারেন। এমনকি যাত্রাও সম্ভব। ৮৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার পাশে রয়েছে।

বৃষ রাশি: বসন্ত পঞ্চমীতে পারিবারিক জীবনে অস্থিরতার সম্মুখীন হবেন বৃষ জাতকরা। মা-বাবার সঙ্গে বৈচারিক মতভেদ সম্ভব। প্রেম সম্পর্কের জন্য সময় শুভ। পারিবারিক সুখ লাভ করবেন। চাকরিজীবীদের কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সন্তুষ্ট করবেন এই রাশির জাতকরা। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সঙ্গে রয়েছে।

মিথুন রাশি: সরস্বতী পুজোর দিনে লাভবান হতে চলেছেন মিথুন জাতকরা। এ দিন আর্থিক ও ব্যবসায়িক দিক দিয়ে লাভ অর্জন করবেন এঁরা। কাজের কারণে যাত্রায় যেতে পারেন। সুখানুভূতি হবে। আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহে পরিপূর্ণ হয়ে ভালো মুনাফা অর্জন করবেন এই রাশির জাতকরা। নতুন ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় কাজ শুরু করার জন্য বসন্ত পঞ্চমীর দিন খুবই শুভ। তবে পারিবারিক সমস্যার কারণে সদস্য আপনার সাফল্য উপভোগ করতে পারবেন না। ৮৫ শতাংশ ভাগ্যবান আপনারা।

কর্কট রাশি: আনন্দের দিনেও নানান কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন কর্কট জাতকরা। বিভ্রান্ত থাকবেন। এই বিভ্রান্তিই আপনাকে সময়ের মধ্যে কাজ পূর্ণ করতে দেবে না। আর্থিক পরিস্থিতি ভালো থাকবে, তবে আকস্মিক ব্যয় বৃদ্ধি হবে। আর্থিক ও অন্যান্য অভাব আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করা থেকে আটকাবে।

সিংহ রাশি: বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে বাড়িতে অতিথি সমাগম হতে পারে, ফলে পরিবারের পরিবেশ আনন্দ মুখর থাকবে। তবে এই আনন্দের মাঝেই পারিবারিক অশান্তি আপনাকে চাপে ফেলবে। স্বাস্থ্যের দিক দিয়েও এই দিন সিংহ জাতকদের জন্য খুব একটা ভালো নয়। আগে থেকে হাড় ও কিডনির সমস্যা থাকলে, সময় আরও কঠিন হয়ে পড়বে। আবার এই রাশির বয়স্ক সদস্যরা আজ দীর্ঘ যাত্রা করবেন না। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন।

কন্যা রাশি: শ্রী পঞ্চমীর দিনটি কন্যা জাতকদের জন্য আর্থিক সম্পন্নতা সুনিশ্চিত করবে। সম্মান লাভ করবেন ও খ্যাতি বাড়বে। ব্যবসা বিস্তার সম্ভব। পরিশ্রম সফল হবে। সরস্বতী পুজোর পর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যেতে পারেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আনন্দদায়ক সময় কাটাবেন। পুজো উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সম্পর্ক মধুর হবে। ভাগ্য আপনার ৮২ শতাংশ সহযোগিতা করবে।

তুলা রাশি: ব্যবসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন বসন্ত পঞ্চমীর শুভ যোগে। প্রচেষ্টার ফলে আপনার জীবনে চারদিক থেকে সাফল্য আসবে। শক্তি বৃদ্ধি ঘটবে। ভাষায় মাধুর্য থাকায় আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত হবে। সমস্ত কাজে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সহযোগিতা লাভ করবেন। আজ ৭০ শতাংশ ভাগ্যের সাহায্য লাভ করবেন তুলা জাতকরা।

বৃশ্চিক রাশি: আপনার ভালো কাজ অন্য সকলকে প্রভাবিত করবে। নিয়মিত কাজ থেকে সরে কিছু করার চেষ্টা করলে সফল হবেন। ব্যবসায়ীদের জন্য হতাশাপূর্ণ দিন। তবে অংশীদারীর কাজে ভালো লাভ অর্জন করবেন। চাকরিজীবীদের জন্য স্বস্তিদায়ক দিন। ভাগ্য আজ আপনার ৯৫ শতাংশ সঙ্গ দেবে।

ধনু রাশি: মনের কোনও কথা পরিবারের সদস্যদের জানাতে হলে, দেরি না-করে বসন্ত পঞ্চমীর দিনেই তা বলে দিন। নতুন বন্ধুত্ব আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সহায়ক হবে। চাতুর্যের জোরে তাঁদের কাছ থেকে সাহায্য লাভ করতে পারবেন। দুঃখের বিষয় সরস্বতীর পুজোর এই দিন ধনু রাশির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শুভ নয়। তবে নিজের লক্ষ্য ও উচ্চাকাঙ্খার প্রতি গতিশীল থাকুন। ৮১ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার পাশে থাকবে।

মকর রাশি: মিশ্র ফলাফল লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা। চিন্তিত থাকতে পারেন। এমনকি অনাবশ্যক জটিলতায় জড়িয়ে পড়বেন। কোনও পরিকল্পনা কার্যকর হওয়া শুরু করলে, তাতেও বাধা দেখা দেবে। স্বাস্থ্যের প্রতি ভুলেও অযত্ন করবেন না। আর্থিক বিষয়ের সমাধানের জন্য সময় লাগতে পারে। ভাগ্য ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে রয়েছে।

কুম্ভ রাশি: বসন্ত পঞ্চমীর দিন এই রাশির জাতকদের যোগাযোগ ক্ষমতা সর্বোচ্চ স্তরে থাকবে। নতুন প্রকল্পের জন্য সময় ভালো। শ্রী পঞ্চমীর শুভ দিনে নতুন কোনও অধিগ্রহণও করতে পারেন। জীবনশৈলী উন্নত হবে। ৮৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন কুম্ভ রাশির জাতকরা।

মীন রাশি: বসন্ত পঞ্চমীর দিন অত্যন্ত শুভ। এবার বসন্ত পঞ্চমীতে একাধিক শুভযোগের সৃষ্টি হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই শুভ যোগের সুফল লাভ করতে চলেছেন মীন রাশির জাতকরা। ব্যবসায়িক জীবনে সফল হবেন। দশ দিকে খ্যাতি ও প্রসিদ্ধি ছড়িয়ে পড়বে। সরস্বতী পুজোর দিনে নিজের চেয়ে বড় ও সজ্জন ব্যক্তিদের আদর-যত্ন করতে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করবেন। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ও আত্মবিশ্বাস বাড়বে। বরিষ্ঠ ও সহকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন মীন জাতকরা। ৭২ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন।

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দু’দিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দু’টো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।